ভিটামিন বি ১২-যুক্ত আহার জরুরি
৪০ পেরোলেই ভিটামিন বি ১২-ও কমতে থাকে মহিলাদের শরীরে। এর ফলেই চুল পড়া, অবসাদ, ক্লান্তিভাব, স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া, প্রভৃতি সমস্যা বাড়তে থাকে । এগুলি থেকে অন্য নানা রোগের উপসর্গ দেখা দিতে পারে। ডার্মাটোলজিস্টদের মতে, এই বয়সে পৌঁছে শতকরা ৯০জন মহিলা ভিটামিন বি-এর অভাবে ভোগেন। এর কারণ খাওয়াদাওয়ার মাধ্যমে তারা সঠিক পুষ্টি গ্রহণ করেন না। ডায়েটে অপটিমাল প্রোটিন না থাকার কারণে ভিটামিন ১২-এর অভাব ঘটে শরীরে। তাই যথেষ্ট পরিমাণে প্রোটিন-যুক্ত খাবার খান। এতে ত্বক ও চুলের সমস্যাও কমে যাবে।
যারা শাকাহারী, তাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। আমিষ ভক্ষণ করেন যারা, তারা অ্যানিমাল প্রোটিন গ্রহণ করুন। বিশেষ করে ডিম, মাছ, মাংস যেন অবশ্যই ডায়েটে থাকে। নিরামিষাশীরা বাজরা, রাগি, জোয়ার প্রভৃতি মাল্টিগ্রেন-এর রুটি খেতে পারেন, এতে ভিটামিন বি ১২-এর ঘাটতি কিছুটা পূরণ হবে।
ব্যায়ামে ফিটনেস
৪০ পেরোনোর পর ব্যায়ামটা কিন্তু মাস্ট করে ফেলুন। এই বয়সে মহিলাদের মেটাবলিজম প্রক্রিয়া, কিছুটা ধীর গতি হয়ে পড়ে। এর ফলে ওজন বাড়তে থাকে। এই ওজন নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যায়ামটা জরুরি। ওজন বাড়লে থাইরয়েড ও হৃদরোগের সম্ভাবনাও বাড়ে।
একসময় মহিলারা বাড়ির সমস্ত কাজ নিজের হাতে করতেন। তখন এত যন্ত্রনির্ভর হয়ে যায়নি জীবনশৈলী। ফলে শরীরের মাংসপেশিগুলোর মাঝে যথেষ্ট ফ্লুয়িড থাকত। কিন্তু আজকাল শারীরিক শ্রম কমে যাওয়ার ফলে, শরীরে রোগও বাসা বাঁধে দ্রুত।
৪০-এর পর শরীরকে অ্যাক্টিভ রাখা আবশ্যক। সকালে ৪৫ মিনিট মর্নিংওয়াক করুন। কার্ডিয়ো এক্সারসাইজ করুন। এগুলি মেটাবলিজম-এ সহায়তা করে। জগিং করতে পারলে তো আরও ভালো। এটা খুবই ভালো এক্সারসাইজ। কিন্তু চেষ্টা করুন এগুলি সকালে করতে। ওই সময়ই শরীর সবচেয়ে ক্রিয়াশীল থাকে।
একাকিত্বকে দূরে রাখুন
সন্তানরা বড়ো হয়ে গেছে, স্বামীর সময় নেই সঙ্গ দেওয়ার এই অভিযোগ ৪০ পেরোনো বহু মহিলারই আছে। একাকিত্বর কবলে পড়া এইসব মহিলারা ডিপ্রেশনের শিকার। কিন্তু নিজেকে কখনও একা হতে দেবেন না। মনে রাখবেন মন ভালো থাকলে শরীরও সুস্থ থাকবে।