শীতে অসুস্থ হয়ে পড়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। এই সময় বেশিরভাগ মানুষ ছুটি কাটানোর পরিকল্পনায় বেশি ব্যস্ত থাকে, স্বাস্থ্যের ব্যাপারে নজর থাকে খুব কম। কিন্তু কষ্ট করে হলেও কিছু Food and health সংক্রান্ত নিয়ম মেনে, আপনার খাবার তালিকায় কিছু পরিবর্তন করে, আপনি এই শীতেও থাকতে পারেন দিব্যি সুস্থ। এখানে কিছু খাবার টিপ্স দেওয়া হল যা আপনাকে শীতকালীন অসুস্থতা থেকে রক্ষা করবে। রইল Winter health tips।
শীতে শরীরকে গরম রাখতে প্রয়োজনীয় ক্যালোরির প্রয়োজন হয় । তাই শরীরকে সেই জ্বালানি জোগান দেওয়ার জন্য খাদ্যের প্রয়োজন।এই সময়ে সবুজ শাকসবজি, পালংশাক, মেথিশাক, সরষেশাক ইত্যাদি সবুজ পাতা-যুক্ত সবজি রাখুন খাদ্য-তালিকায। এগুলি আযরন, অ্যান্টি অক্সিড্যান্টস, ফলিক অ্যাসিড ম্যাগ্নেশিযাম, কপার, ফসফেট ইত্যাদি তত্ত্বে ভরপুর। এই উপাদান ইমিউনিটি বাড়িযে স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
এছাড়া ভিটামিন সি –এর জোগান দেবে কমলালেবু, আমলকী, পাতিলেবু, কিউয়ি, পেযারা, ব্রোকোলি, পালংশাক ইত্যাদি ফল ও সবজি। ভিটামিন এ পাওয়া যাবে কমলা বা লাল রঙের ফল আর সবজি থেকে। যেমন পেঁপে, গাজর, রাঙাআলু, তরমুজ, লাল আঙুর, আম ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ থাকে। ক্যালসিযাম হাড় শক্ত করতেই যে শুধু দরকার এমন নয়।, শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে। দুধ, দই, ঘি, ছানা, চিজ, ছাছ, ঢ্যাঁড়শ, পালং, ব্রোকোলি, বিন্স এবং ফলের মধ্যে কমলালেবু, কিউয়ি, ব্ল্যাকবেরি, পেঁপে ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে।
শীতে ভারী খাবার খেয়ে হজম করা একটু মুশকিল। ফাইবার-যুক্ত আহার আমাদের হজম প্রক্রিয়া মজবুত করতে সাহায্য করে। ফাইবার-যুক্ত সবজি, ফল, ব্রাউন ব্রেড, ডাল, গমের আটা, ড্রাইফ্রুটস, ওটস, কড়াইশুঁটি, ভুট্টা ইত্যাদি ইমিউনিটি শক্তি বাড়াতেও খুবই কার্যকরী।
প্রচুর পরিমাণে পানীয় জল গ্রহণ করা প্রয়োজন শীতকালে। জল শুধু তেষ্টা মেটায় না, শরীরে ওষুধের মতো কাজ করে। শরীরের বর্জনীয় বিষাক্ত তত্ত্ব বাইরে বার করে দিতেও সাহায্য করে। সারাদিনে অন্ততপক্ষে তিন লিটার জল খাওয়া অত্যন্ত জরুরি।