আজকাল প্রায় সমস্ত পরিবারেই মহিলারা কোনও না কোনও চাকরি করেন অথবা নিজেরা ছোটোখাটো কোনও ব্যাবসা। ফলে রান্নাঘর সামলানো আর ততটা হয়ে ওঠে না সময়াভাবে। কিন্তু সংসার করতে হলে তো সব দায় এড়ানোর উপায় নেই। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার বিষয়টিও মোটেই অবহেলা করা চলে না। তাই পরিবারের সবার মন রাখতে ও তাদের আবদার মেটাতে রান্না করতেই হয় গৃহিণীদের।

কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে পেশা সংক্রান্ত কাজকর্ম সামলে কতটা সময় দিতে পারবেন আপনি রান্নাঘরে! এই দোলাচল দূর হবে যদি আপনি কিচেন-স্মার্ট হতে পারেন। অর্থাৎ টাইম ম্যানেজমেন্ট এবং স্মার্ট টেকনিক, দুই-ই যদি হয় আপনার নখদর্পণে।

আপনাকে সাহায্য করতে অতি জরুরি কিছু কিচেন হ্যাকস আমরা নিয়ে এসেছি, যা গৃহিণীদের করবে দারুণ স্মার্ট। সময়ও বাঁচবে আর খুব পরিশ্রমও করতে হবে না। জেনে নিন—

  • গ্যাস বার্নার মাঝেমাঝেই পরিষ্কার করবেন। অনেকসময় ময়লা জমে থাকার ফলে বার্নার দিয়ে গ্যাস ভালো ভাবে বের হয় না, রান্নাতেও দেরি হয়।
  • খাবার গরম করার জন্য সবসময় ফ্ল্যাট প্যান ব্যবহার করুন। এতে খাবার গরম হবে দ্রুত।
  • সবজি কেনার সময় বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিন। সেই ধরনের সবজিই কিনুন যা রান্না হয় তাড়াতাড়ি। কিছু সবজি প্রয়োজনে আগের রাতে কেটে এয়ারটাইট কন্টেনার এ রেখে দিন। সকালে অফিস বেরোনোর আগে যাতে তাড়াতাড়ি রান্না হয়ে যায়। ছোটো কন্টেনারে টম্যাটো পেস্ট করে, আদা-রসুন পেস্ট করে ফ্রিজে স্টোর করে রাখুন। এগুলি ২-৩দিন অনায়াসে ব্যবহার করা যায় ।
  • আলুর পরোটা যদি ব্রেকফাস্ট বা টিফিনের জন্য বানানোর প্রয়োজন হয়, আগের রাতেই আলু সেদ্ধ করে এবং ময়দা মেখে রেখে দিন।
  • রাজমা বা ঘুঘনি মটর আগে থেকে প্রেশারে সেদ্ধ করে কন্টেনারে স্টোর রাখুন। মশলা দিয়ে কষে নিলেই এগুলি তৈরি হয়ে যাবে।
  • পালং শাক সেদ্ধ করে পেস্ট করে ফ্রিজে রেখে দিন। পনির মিশিয়ে রান্না করতে সময় লাগবে না।
  • রসুনের খোসা ছাড়াতে সময় লাগে? গরম জলে ভিজিয়ে রাখুন কোয়াগুলো। দ্রুত কাজ হয়ে যাবে।
  • দ্রুত কফি তৈরি করার একটি ট্রিক হল একটা কাপে ২-৩ চামচ কফিগুঁড়ো ও ৪-৫ চামচ চিনি ও অল্প দুধ দিয়ে ফেটিয়ে রেখে দেওয়া। এরপর যখনই কফি খেতে ইচ্ছে করবে শুধু দুধ গরম করলেই হবে। এই কফি মিক্স থেকে খানিকটা কাপে ঢেলে, গরম দুধ ঢেলে দিলেই আপনার কফি তৈরি।
  • অনেক সময় তাড়াহুড়োয় জুস তৈরির সময় চিনি গুলতে চায় না। বিশেষ করে ঠান্ডা জলে চিনি সম্পূর্ণ ভাবে গুলে যেতে সময় নেয়। তাই আগে থেকেই চিনি জলে ফুটিয়ে সিরাপ তৈরি করে রাখুন। এই সিরাপ ঠান্ডা হলে ফ্রিজে স্টোর করুন। এবার জুস তৈরি করা খুব সোজা হবে। এই সিরাপ ২০-২৫ দিন পর্যন্ত ব্যবহার করা যাবে। জুস, শরবত, লস্যি সবকিছুতেই মেশাতে পারবেন চিনির এই সিরাপ।
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...