অতিমারিতে দুটো বছর পার হয়ে গেছে। করোনার কারণে কেনাকাটায় বাঙালি এই দুই বছর বাড়ি বসে কাটিয়েছে। দোকানিরাও খালি হাতে বাড়ি ফিরেছেন। মানুষ চাকরি হারিয়েছে, মাইনে কমেছে। কেনাকাটা বিলাসিতারই নামান্তর হয়ে দাঁড়িয়েছিল। করোনার তৃতীয় লহর কাটতেই পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। অনলাইন, শপিংমল, হকার সর্বত্রই মানুষের ঠাসাঠাসি ভিড় দেখেই পরিস্থিতি আন্দাজ করা যাচ্ছে। চারিদিকে শুরু হয়ে গিয়েছে কেনাকাটার হিড়িক। কলকাতা ছাড়াও গরম হয়ে উঠেছে শহরতলিরও কেনাকাটার বাজার।
এতদিন করোনার কারণে ব্যবসা মন্দা থাকায় নতুন জামাকাপড় বা শাড়ির বিশেষ স্টক দোকানে ছিল না। এবারের চৈত্র সেলে নতুন ডিজাইনের পোশাক, চপ্পল, মণিহারি সামগ্রী সমেত বাজার গমগমে হয়ে উঠেছে। বাড়তি পাওনা হিসেবে রয়েছে ডিসকাউন্ট। কোথাও কেনাকাটায় ছাড় তো কোথাও একটি বা দুটির সঙ্গে রয়েছে ‘ফ্রি’-এর অফার। যারা ভিড় পছন্দ করেন না তারা অনলাইনেই কেনাকাটা সারছেন কারণ সেখানেও ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী বিশেষ ছাড়ের অফার থাকছে।
হকারদের থেকে কেনাকাটা করতে হলে রয়েছে গড়িয়াহাট, এসপ্ল্যানেড, নিউমার্কেট, হাতিবাগান।
দক্ষিণ কলকাতার গড়িয়াহাটে পাবেন নানা ধরনের সুতির পোশাক যা গরমে পরার জন্য আইডিয়াল। টপ, স্কার্ট, পালাজো, নানা স্টাইলের বটমওয্যার, ড্রেস, চুড়িদার সেট, কুর্তি সবকিছুই পেয়ে যাবেন। শাড়ি এবং ছেলেদের পাঞ্জাবি, ডিজাইনার ধুতি, পায়জামার দোকানেও ভিড় চোখে পড়ার মতো। ফুটপাথে ঢেলে বিক্রি হচ্ছে বাটিক, কাঁথা কাজের কুর্তি এবং ব্লাউজ পিস। শাড়ির সঙ্গে ম্যাচিং বা কনট্রাস্ট ম্যাচিং করে কিনে নিতে পারেন পছন্দ অনুযায়ী। রয়েছে রেডিমেড ব্লাউজ-এরও অঢেল সম্ভার। বিছানার চাদর, ঘর সাজানোর জিনিস, জাংক জুয়েলারি সবই রয়েছে ক্রেতাদের কেনার অপেক্ষায়।
হাতিবাগান-শ্যামবাজার, উত্তর কলকাতার জমজমাট শপিং ডেস্টিনেশন। সস্তায় ভালো জিনিস কেনার লোভে ক্রেতারা এখানে আসেন। হাল ফ্যাশনের জাংক জুয়েলারি থেকে শুরু করে অন্দরসজ্জার উপকরণ, ড্রেস মেটেরিয়াল, ওড়না, রেডিমেড ব্লাউজ, চটি-জুতো, সবসময় পরার পোশাক, কুর্তা, পাঞ্জাবি, ফতুয়া সবকিছুই পাবেন ডিসকাউন্টেড প্রাইসে।