মা-বাবার পছন্দমতো ছেলের সঙ্গে আমার বিয়ে হয় ২৫ বছর বয়সে। কিন্তু বিয়ের পরে আমার স্বামী এবং শাশুড়ির দুর্ব্যবহারে বিরক্ত হয়ে আমি সাময়িক ভাবে মা-বাবার কাছে চলে আসি। কিছুদিন পর আমি এক কন্যা সন্তানের জন্ম দিই। কিন্তু আমার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা আমাকে এবং আমার মেয়েকে আর ফেরত নিয়ে যেতে চাইছিলেন না। তাই আমার বাবা-মা আমার বিবাহবিচ্ছেদ করিয়ে আবার একজনের সঙ্গে বিয়ে দেন এবং আমার কন্যাকে নিজেদের কাছে রেখে লালনপালনের দায়িত্ব নেন। আর এখন আমি আরও এক পুত্রসন্তানের জননী। কিন্তু আমার দ্বিতীয় বৈবাহিক জীবনও খুব সুখের হয়নি। কারণে-অকারণে সারাক্ষণ চিৎকার-চ্যাঁচামেচি করেন আমার স্বামী। তাই এখন আমি অবসাদগ্রস্ত। রাতে ঠিকমতো ঘুমোতে পারি না। আমার মেয়েকেও আমি ভীষণ মিস করি। আমি কীভাবে এই অবসাদ থেকে মুক্তি পাব ভেবে কুলকিনারা পাচ্ছি না।

 

সত্যি বলতে কি, আপনার বৈবাহিক জীবন ভুলে ভরা। কারণ, আপনার বিয়ে হয়েছে আপনার মা-বাবার সিদ্ধান্তমতো। আপনার নিজস্ব ইচ্ছে-অনিচ্ছে গুরুত্ব পায়নি। তাই, যা ঘটেছে, তারজন্য বেশি দায়ী আপনার মা-বাবা। কিন্তু আপনাকেও ভাবতে হবে, আপনার প্রথম এবং দ্বিতীয় স্বামী কেন আপনার প্রতি বিরূপ মনোভাব পোষণ করছেন? তাহলে কি আপনি স্ত্রী হিসাবে কিংবা গৃহবধূ হিসাবে অসফল? আপনার মধ্যে কি কোনও রকম ঘাটতি আছে? আপনার প্রথম বিবাহিত জীবনের বিষয়টা চুকে গেছে কিন্তু দ্বিতীয় বিবাহিত জীবনেও কেন আপনি অসুখী কিংবা আপনার স্বামী কেন সবসময় বিরক্ত থাকেন সেই কারণ খুঁজে বের করুন।

এইসব প্রশ্নের উত্তরে যদি দেখেন আপনার কোনও ভুল বা দোষ আছে তাহলে চেষ্টা করুন তা শুধরে নেওয়ার। আর মেয়ের জন্য ভাববেন না, কারণ আপনার মা-বাবা নিশ্চয়ই আপনার মেয়েকে ভালোভাবেই মানুষ করছেন। এরপরও যদি মেয়ের জন্য মন কেমন করে, তাহলে মাঝেমধ্যে ওর সঙ্গে দেখা করে কোয়ালিটি টাইম দেবেন। সেইসঙ্গে, আপনার বর্তমান স্বামীর প্রতি আরও বেশি দায়িত্ব-কর্তব্য পালন করুন। সুযোগ বুঝে স্বামী-সন্তানের সঙ্গে কোথাও বেড়াতে যান। নিজেদের সুখ-দুঃখ, তৃপ্তি-অতৃপ্তির বিষয়ে দুজনে মিলে খোলামেলা আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথ খুঁজুন।

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...