প্রতারকরা কখনও ফোন করে বলছে ‘আপনার নামে আসা পার্সেল-এ মাদকদ্রব্য ছিল, যা ধরা পড়েছে। আপনি কিছু টাকা পাঠালে বেঁচে যাবেন।' কখনও আবার বলছে 'ইনশিয়োরেন্স পলিসি ম্যাচিওর করে গেছে এবং ওই টাকা তুলে অ্যাকাউন্ট-এ পাওয়ার জন্য এসএমএস-এ যাওয়া পিন নাম্বার ফরওয়ার্ড করুন'। আসলে অপরাধী মানসিকতার লোকেরা খুব দ্রুত অনেককে তাদের বক্তব্য বিশ্বাস করিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। কারণ প্রতারকরা জানে, এমন কিছু মানুষ আছেন, যারা খুবই ভীতু, লোভী এবং বোকাও।
আসলে এখন অনেককিছুই অনলাইন-এ করতে হচ্ছে এবং যার সুযোগ নিচ্ছে প্রতারকরা। বিষয়টা হল, সহজে এবং কম দামে কিছু কিনতে পারলে তার মধ্যে কোনও বোকামো নেই কিন্তু যে সাইটস থেকে ওই কেনাকাটা করছেন, তা ঠিকমতো যাচাই করে নেন না অনেকে। যে ব্র্যান্ড-এর জিনিস কিনছেন, সেই ব্র্যান্ড-এর কোনও অফিস আছে কিনা কিংবা যে সাইটস থেকে বুকিং করছেন জিনিসপত্র, তা ফেক কিনা কিংবা প্রতারণা চক্রের তৈরি কিনা এসব অনেকে যাচাই না করেই অর্ডার করেন জিনিসপত্র এবং আগাম টাকা পাঠিয়েও দেন।
মুহূর্তের মধ্যে সবকিছু পেয়ে যাব কিংবা ম্যাজিকের মতো সবকিছু হাতে এসে যাবে, এমন ধারণা থেকেই মানুষের মনে অতিরিক্ত লোভ তৈরি হয় এবং যার ফলে প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়। এছাড়া আছে অন্ধবিশ্বাস। যুক্তি দিয়ে বিচার-বিবেচনা না করে সবকিছু বিশ্বাস করে নেওয়ার প্রবণতা আছে অনেকের। তাই, সরকারি প্রতিশ্রুতিও অন্ধের মতো বিশ্বাস করে নিয়ে সেই শাসককে ভোটদান করেন অনেকে। আর এখন যেমন অনলাইন প্রতারণা বাড়ছে, ঠিক তেমনই চলছে অন্যান্য প্রতারণা। আজকের সভ্য সমাজে দাঁড়িয়েও গণেশকে দুধ খাইয়ে বোকা ভক্তদের থেকে ভালো পরিমাণ প্রণামীর অর্থ লুটছে ধর্মীয় প্রতারকরা।

আসলে এই অনলাইন-এর যুগে সবকিছুই লাগামছাড়া। কোনও কন্ট্রোল নেই, তাই বাড়ছে অপব্যবহার। এই যেমন অনালাইন পোর্টালগুলোর উপর নিয়ন্ত্রণ আনার চেষ্টা করছে সরকার কিন্তু তা কী কড়া আইন ছাড়া সম্ভব? পার্সোনাল মেইল-এ কিংবা মোবাইল ফোন-এ আপনি না চাইলেও প্রতারণামূলক অফার আসতে থাকে।





