সংসারের আর্থিক দুর্গতি, পারিবারিক ঝগড়া-অশান্তি, করোনায় আক্রান্ত হওয়া প্রভৃতি নিয়ে আতঙ্ক চলতেই থাকবে। মানুষের দুর্গতিরও শেষ হবে না৷ এমতাবস্থায় কেউ যদি ইট, কাঠ, পাথর, বালি, সিমেন্ট আর লোহার রড এনে শ্রমিক নিয়োগ করে অট্টালিকা তৈরি করতে শুরু করে দেন, তাহলে তা দেখে দূরাবস্থাগ্রস্তদের মনে কাঁটা তো বিঁধবেই। সেন্ট্ৰাল ভিস্টার বিষয়টি এখন সাধারণ মানুষের কাছে সেই কাঁটাস্বরূপ৷সেন্ট্রাল ভিস্টা প্রকল্পে নতুন সংসদ ভবন, প্রধানমন্ত্রী ও উপরাষ্ট্রপতির নতুন বাসভবন ছাড়াও, আরও নানা সচিবালয় নতুন করে নির্মাণ, রাষ্ট্রপতির বাসস্থান সংলগ্ন তিন কিলোমিটার রাস্তার নানান সৌন্দর্যায়ন ইত্যাদি ইত্যাদি আছে। এর বাজেট আপাতত ২০ হাজার কোটি টাকা৷

অথচ আমাদের দেশের মানুষের আর্থিক এই বেহাল অবস্থা কী ভাবে শুধরোবে কেউ জানে না৷ আমাদের দেশে  নানা রকম পূজাপাঠ চলে সংকটমোচনের জন্য। এও প্রচলিত আছে যে, সংকটমোচনে গণেশ পুজো করলে তবেই মহাদেবের কৃপা লাভ করা যায়। আবার রথের চাকা গড়ালে নাকি দুঃখমোচন হয়। আমাদের সরকারও এই পৌরাণিক বিশ্বাসকে অনুসরণ করছে। আর্থিক সংকটমোচনে দেবদেবীর নামজপ করতে বলছে। এভাবেই নাকি জনগণ সুখশান্তি পাবে!

রাম মন্দির, সেন্ট্রাল ভিস্টা এবং নতুন সংসদ ভবন নিযে হইচই চলে এ দেশে কিন্তু কলকারখানা এবং অন্যান্য বাণিজ্য বাড়ানোর দিকে সরকারের দৃষ্টি তেমন পড়ে না।নতুন সংসদ ভবনের মাধ্যমে নাকি দেশ নতুন ভাবে গড়ে উঠবে। এ যেন ভাঙা বাড়ি পুনর্নির্মাণের পর পারিবারিক অশান্তি দূর হয়ে সকলের মুখে হাসি ফুটবে-- এমনটাই বোঝানোর চেষ্টা চলছে। অর্থাৎ, নতুন সংসদ ভবন যেন দেশের খোল নলচে বদলানোর পদক্ষেপ৷ অগ্রগতির প্রতীক।

একথা ভুলে যাওয়া উচিত নয় যে, ১৯২৫ থেকে ১৯৩০ সালের মধ্যে গড়ে তোলা সংসদ ভবনেই গড়ে উঠেছিল ব্রিটিশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-প্রতিরোধ এবং সংসদ ভবন প্রতিষ্ঠার ১৬-১৭ বছর পর ব্রিটিশ শাসনের অবসান ঘটেছিল দেশে। তাই মনে রাখা দরকার, রায়সিনা হিল-এ রাষ্ট্রপতি ভবন থাক, সংসদ ভবন কিংবা সেক্রেটারিয়েট ভবন যেখানে যেমন অবস্থাতেই থাকুক না কেন, কোনও ভবনই কোনও সরকরের স্থায়ীত্ব নিশ্চিত করতে পারে না।

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...