সুবোধের যখন ঘুম ভাঙল পৃথিবীর গা থেকে কুয়াশার সর এতটুকু কাটেনি। যেন কয়েক লাখ টনের এসি ফুলদমে চলছে। পুরো কনকনে ঠান্ডা চারদিকে। পুরোনো সরষের তেলের গন্ধে ম-ম করা লেপটা গায়ে ভালো করে জড়িয়ে নিয়ে আর এক চোট ঘুমের ব্যবস্থা করতে যাবে হঠাৎই মনে হল কাল রাতে ছেলেটার গায়ে চাদর ঢাকা দেওয়া হয়েছিল? আধো ঘুম আধো জাগা অবস্থায় গতকাল রাতের কথা মনে করতে চেষ্টা করল। রাত্রে ছেলেকে খাওয়ানো তারপর এঁটো বাসন তুলে...। কম্বলটা কি শেষপর্যন্ত জড়িয়ে দিয়েছিল? ...যতদিন যাচ্ছে মাথাটার বারোটা যেন বেজে যাচ্ছে। আগে কত মনে থাকত! বড়ো বড়ো হিসেব সব গড়গড় করে বলে ফেলতে পারত, এখন সব গেছে, এই এক বছরে মাথাটা যেন অন্য লোকের হয়ে গেছে!

দু'-একবার এপাশ-ওপাশ করে নরম গরম বিছানার মায়া ছেড়েছুড়ে উঠে পড়ল সুবোধ। লেপ ছাড়তেই ঘ্যাঁক করে কামড়ে ধরল শীত। ঘরের টিউব জ্বালল। পাশের চৌকিতে নীলিমা ঘুমোচ্ছে। আপাদমস্তক লেপে ঢাকা। ও কী করে যে মুখ ঢেকে ঘুমোয় সে এক বিস্ময়। তিপ্পান্ন বছরের সুবোধ কোনওকালেই চাদর বা লেপে মুখ ঢেকে ঘুমোতে পারে না। দম আটকে আসে। নীলিমা ঠিক উলটো স্বভাবের। ছেলেটার স্বভাবও ঠিক তাই। পুরো মুড়ি দিয়ে তারপরে ঘুমোয়।

ঘরের এককোণে লালুয়া চটের পাপোশের ওপর গুটিসুটি মেরে ঘুমোচ্ছিল, সুবোধকে উঠতে দেখে এখন পিটপিট করে দেখছে। তিন বছর বয়স হয়ে গেল মদ্দা কুকুরটার। শালুক, মানে সুবোধের ছেলেই নর্দমা থেকে তুলে নিয়ে এসেছিল কুকুরটাকে। লালচে হলুদ কুকুরটার তখন এই লিকলিকে চেহারা। নর্দমায় পড়ে ঠান্ডায় ঠকঠক করে কাঁপছে। বড়ো কুকুরের কামড়ে পিঠের অনেকটা ছালও উঠে গেছিল। সেই কুকুরবাচ্চাকে রীতিমতো সেবা শুশ্রূষা করে পুরো ফিট করে তুলেছিল শালুক। তারপর যা হয়, কুকুরটা আর গেল না এই বাড়ি ছেড়ে। নীলিমা মাঝে মাঝে ছেলের ওপর রাগ করে বলত বাড়িটা পুরো চিড়িয়াখানা করে ফেললি! কুকুর, খরগোশ, পায়রা, এরপর বন থেকে বাঘ ভাল্লুক নিয়েও পোষ, আমাদের মেরে খাক তবে তোর শান্তি হবে।

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...