পুলিশ দুই প্রকার, ভালো পুলিশ আর খারাপ পুলিশ। সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রেও তাই। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় এই যে, সাধারণ মানুষ কখনওই পুলিশকে সুনজরে দেখে না। পুলিশ মানেই যেন খারাপ চরিত্রের। পুলিশের চাকরিতে ঢোকার আগেই শুভ্রজ্যোতি জানতেন এটা। যুবক বয়সে নিজেও থানাপুলিশ এড়িয়ে চলেছেন। চাকরির পরীক্ষা দেওয়ার সময় বাছাবাছিতে যাননি। কারণ, তখনই চাকরির বাজার বেশ খারাপ। এমনই কপাল, শিকে ছিঁড়ল পুলিশের চাকরিতেই। গুরুজন এবং চেনাজানারা সকলেই বলল, যতই হোক সরকারি চাকরি। এইবেলা ঢুকে পড়।পরে এই চাকরিও দুর্লভ হয়ে যাবে।

জয়েন করে গেলেন শুভ্রজ্যোতি। ট্রেনিং পিরিয়ডে, বিশেষকরে থিয়োরির ক্লাসগুলোতে মনে হতো আমি ভালো পুলিশ হয়ে উঠব। পুলিশের চাকরি যথেষ্ট মর্যাদাকর। কতিপয় খারাপ মানুষ এই চাকরিতে ঢুকে পুলিশের বদনাম তৈরি করে। প্রথম পোস্টিং হল ডক এরিয়ার থানায়। অপরাধপ্রবণ এলাকা। সেই থানাতে একটাও ভালো পুলিশ ছিল না। দু’জন সৎ পুলিশ ছিল। তারা পয়সা খেত না, কোনও কাজও করত না। একেবারে নিস্ক্রিয়। শুভ্রজ্যোতি বসে বসে মাইনে নিতে পারবেন না। অলসতা তাঁর স্বভাবে নেই। কাজ করতে গেলেন, ধরে রাখতে পারলেন না সততা। প্রলোভন এবং পরিস্থিতির চাপের কাছে হার মানলেন। অনেক পুলিশ আছে, যারা হার মানে না। শুভ্রজ্যোতির কাছে তারা প্রণম্য।

সেইসব নমস্য পুলিশদেরও বিশ্বাস করে না সাধারণ পাবলিক। বলাবলি করে, পুলিশ ঘুষ খায় না, তা আবার হয় নাকি! বিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে কোনওদিন হয়তো বিড়াল মাছ খাওয়া ছেড়ে দেবে। পুলিশ ঘুষ খাওয়া ছাড়বে না। এরকম একটা ধারণা শুভ্রজ্যোতির প্রতি

আত্মীয়-পরিজনেরও ছিল। ঠাকুরদার দেওয়া অমন সুন্দর নাম ওই বদনামকে আড়াল করতে পারেনি। এমনকী ফুলশয্যার রাতে চন্দ্রিমা দু’চার কথার পরই জানতে চেয়েছিল, স্যালারি কত পাও সে তো বাবার থেকে শুনেছি, উপরি কীরকম হয়?

বেশি নয়। নিতে হয় বলে নিই। নয়তো চাকরি টেকাতে পারব না। বলেছিলেন শুভ্রজ্যোতি।

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...