ফ্ল্যাটের কোনও নাম রাখা যায় না? যেমন বাড়ির নাম হয়, কী সুন্দর সুন্দর সব নাম– ছায়াপথ, সুরলোক, সুখনীড়, মানসী– শান্তিনিকেতনে দেখেছি...। ফ্ল্যাটে ঢুকবার সময় দরজার গায়ে একটা নম্বর দেখে সবাই ৭সি-৩৬, কেন? একটা নাম রাখলে কী হয়? মহাভারত অশুদ্ধ হয়?– দুলাল বলল।

রাই বলল– কী নাম রাখতে চাও?

দুলাল সেটা ভাবেনি যদিও। মনে এল, তাই বলে ফেলল। রাইয়ের সঙ্গে গল্প করছিল কিনা, ব্যালকনিতে। পাশাপাশি বসে। সাততলা থেকে অনেকটা আকাশ দেখা যায়। কাশিপুর গান-শেল কারখানার চিমনিও দেখা যায়। আবার রাস্তার গাড়িগুলোকে খেলনা গাড়ির মতো লাগে। ওসব দেখছিল আর গল্প করছিল। সকালে আলুর পরোটাটা বেশ ভালো হয়েছিল দিয়ে শুরু। রাই বলল, পরোটা নয়, পরাঠা। নর্থ ইন্ডিয়ানরা এটাকে পরাঠাই বলে। দুলাল বলে, ধুর, পরাঠা কেন? ছোটোবেলা থেকে পরোটাই তো শুনে এসেছি। অফিস ক্যানটিনেও তো পরোটাই বলে।

বলুকগে। ভুল বলে। তর্ক কোরো না। বড়ো হোটেলে পরাঠাই বলে।

 

দুলাল চুপ করে।

ওর নাম কিন্তু দুলাল নয়। ওর নাম কংসারি। কংসারি মন্ডল। রাই ওকে দুলাল ডাকে। কংসারি ডাকা যায় নাকি?

বলো, একটা নাম বলো, সাজেস্ট করো তুমি, ফ্ল্যাটের কেউ নাম দেয় না তো কি হয়েছে, আমরা দিতেই পারি, খুব সুন্দর করে, কাঠে এনগ্রেভ করে একটা নাম দরজার গায়ে লাগিয়ে রাখব।

দুলাল নাম খুঁজে পায় না। মাথা চুলকে বলে কষ্ট নীড় রাখলে কেমন হয়, কত কষ্ট করে ফ্ল্যাটটা করলাম, ইএমআই দিতে দিতে টাট্টি জ্যাম হয়ে যাচ্ছে।

টাট্টি জ্যাম ধরনের শব্দ আগে খুব একটা বলত না, ইদানীং স্মার্ট হবার জন্য এসব শব্দ বলছে। বলে লাভ হয়। এই তো রাই খুশি হয়ে ওর থুতনিটা নাড়িয়ে দিল।

আজ রোববার। আলুর পরোটা বা পরাঠা দিয়ে ব্রেকফাস্ট সারা হল। তারপর হাতে খবরের কাগজ নিয়ে ব্যালকনিতে। রান্নাঘর থেকে টুংটাং ঠকঠক শব্দ। এগুলো গৃহস্থালির শব্দ। এই শব্দ সংসারের শব্দ। এই শব্দ খুব ভালো লাগে দুলালের।

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...