কত তাড়াতাড়ি দিন বয়ে গেল। এই সেদিনের কথা, বিডিওর চাকরিতে জয়েন করতে গিয়েছিল অতনু কর, বাঁকুড়া শহরে। সেখান থেকে আরও দূরে এক পাহাড়ি এলাকা ন’পাহাড়িতে। জায়গাটা ছবির মতো ভাসে চোখের সামনে। পাহাড়, টিলা, বনভূমি, দিগন্তবিস্তৃত লাল মাটির ঢেউখেলানো প্রান্তর। ব্লক অফিসের বড়ো বাবুর দুই মেয়ে, বিশাখা ও ঐশিকা। তারা ছিল যমজ কিন্তু আলাদা। একজন গৌরী, অন্যজন শ্যামলা। শ্যামলা মেয়ে ঐশিকার চোখের রং ছিল আবছা বাদামি। বিনবিন করে অতনু নিজের সঙ্গে, বিশাখা, ঐশিকা, দুজনেই আমার দিকে ঝুঁকে পড়েছিল এক সঙ্গে। দুটি চিঠিই আমার কাছে এসে পড়েছিল ওদের ছোটো ভাই দেবুর হাত দিয়ে। দুজনের কী আশ্চর্য প্রেম নিবেদন। তারা তখন কৈশোর পার করে যুবতি হয়ে উঠছে সবে। তাদের একজন বিশাখা খুব হাসত, আর ঐশিকা ছিল অর্ন্তমুখী। কথা বলত কম। দুজনে যে দু’রকম তা তাদের দুই চিঠি পড়ে বোঝা গিয়েছিল। দুই বোন আলাদা আলাদা হয়ে ঘুরে বেড়াত। সেই বিশাখা, ঐশিকা দুই বোন এত বছর বাদে আমার কাছে ফিরে এসেছে বন্ধু হয়ে। দুজন কুড়ি। তাদের একজন কথা বলে গম্ভীর হয়ে। সব বিষয়ে সুচিন্তিত মতামত দেয়। আর একজন, যার নাম রুহু, সে শুধু হাসে, হা হা হা। আমাদের কথা বলার ইন-বক্সে হা হা হা, হাসির প্লাবন বয়ে যায়। অন্যজন তার নাম কুহু, সে আমাকে জিজ্ঞেস করে, তুমি গড অফ স্মল থিংস পড়েছ বন্ধু?

অতনু তখন জিজ্ঞেস করে, তুমি কি খুব বই পড়ো?

হ্যাঁ, তুমি বই পড়ো না?

পড়ি পড়ি, ওই বইটাও পড়েছি, কিন্তু তা দশ বছর আগে।

এই তুমি কি চেতন ভগত পড়়ো?

না, কেন?

আমিও না বন্ধু, শ্যালো, ওর ভিতরে কিছু নেই পাওয়ার মতো।

কী সুন্দর তুমি বললে, পাওয়ার মতো, বই পড়তে হয় কিছু পেতে, তাই না?

হুম, বলে অতনুর ওই বন্ধু কুহু একটি হৃদয় এঁকে দিল আগে, তারপর লিখল, বাই, পরে কথা হবে।

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...