( ১ )

পার্টিকুলার হরিণ নামটা কবে কে রেখেছিল জানে না ও। তবু মাঝে মাঝেই মনে হয় ঠিক ওই সাদামাটা নামটাই বড্ড বেশি উপযুক্ত ওর। ওই নির্দিষ্ট বুনো প্রাণীটার যা কিছু চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ঈশ্বর যেন খুঁজে পেতে ওর মধ্যেই উপচে দিয়েছেন। পটলচেরা মায়াময় চোখ, পাতলা শরীর, আর ছটফটে দুখানা পাতলা কান,

যে-কানে দুনিয়ার যা কিছু খারাপ কেবল একটা জায়গায় দাঁড়িয়ে থেকেই টের পায়, অনুভব করে। কিন্তু গলা ফেঁড়ে বলতে পারে না। কইতে পারে না কস্তুরী।

হ্যাঁ এটাই হরিণের পোশাকি নাম। বাবা দিয়েছেন। তেমন একটা ভালো লাগে না ওর নামটা। নামটার মধ্যে যেন একটা উগ্রতা মিশে আছে। একটা ধারালো উগ্রতা। জন্মের সময় ওর চোখ, মুখ, টিকালো নাক, এমনকী, মাস্ক ডিয়ারের মতো মাড়ির দু-পাশের গজদাঁত দেখেই মনে হয় পিতৃদেব নামকরণ করে ফেলেছিলেন। সত্যি কথা বলতে কী, কস্তুরী তো হরিণেরই অংশ। তবে...? আবার এটাও সত্যি সব হরিণই কিন্তু কস্তুরী হরিণ নয়। ঠিক পরিষ্কার করে বোঝাবার নয়।

একদিক থেকে কস্তুরী নাভির গন্ধই যেমন হিমালয়ে পাদদেশের মাস্ক ডিয়ার নামক পুরুষ হরিণদের সবার থেকে ওদের আলাদা করে, ঠিক তেমনই ওই উগ্র নাভিগন্ধটুকুই তো কখনও কখনও নিরীহ প্রাণীটার প্রাণঘাতী। একথা সবাই জানে, কস্তুরীর সৌন্দর্য‌্য যতই সুন্দর হোক, তার বিনাশের কারণই হল তার অলৌকিক সৌন্দর্য‌্য। চোখের সামনে ভেসে ওঠে কলেজবেলায় পড়া রবি ঠাকুরের লেখা গুটিকতক কথা—

সৃষ্টিকার‌্যের মধ্যে সৌন্দর্য‌্য সর্বাপেক্ষা আশ্চর্য‌্য রহস্যময় কারণ জগত্রক্ষায় তাহার একান্ত উপযোগিতা দেখা যায় না। সৌন্দর্য‌্য অন্ন নহে, বস্ত্র নহে, তাহা কাহারও পক্ষে প্রত্যক্ষরূপে আবশ্যক নহে। তাহা আবশ্যকের অতিরিক্ত দান। তাহা ঈশ্বরের প্রেম। এইজন্য সৌন্দর্য‌্য অতীব আশ্চর্য‌্য রহস্যময়। মানুষ আপন সভ্যতাকে যখন অভ্রভেদী করে তুলতে থাকে তখন জয়ে স্পর্ধায় বস্তুর লোভে তুলতে থাকে যে-সীমার নিয়মের দ্বারা তার অভু্যত্থান পরিমিত। সেই সীমায় সৌন্দর্য‌্য, সেই সীমায় কল্যাণ। সেই যথোচিত সীমার বিরুদ্ধে নিরতিশয় ঔদ্ধত্যকে বিশ্ববিধান কখনওই ক্ষমা করে না। প্রায় সব সভ্যতায় অবশেষে এসে পড়ে এই ঔদ্ধত্য এবং নিয়ে আসে বিনাশ।

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...