( ১১ )

কস্তুরীর মা আরও বলে যাচ্ছিল, আমি তো তোমার মেয়েকে একদম বিশ্বাস করতে পারি না। নাহলে তুমিই একটা কথা বলো তো। শুধু স্যার হয়ে বাবুর জন্য এত করল? বাড়িতে পৌঁছেও দিল রিকশা করে। ছেলেটার বয়স কম! দ্যাখো কোনও কিছু না আবার কাণ্ড করে বসে। আমাদের মুখ ভর্তি চুনকালি মাখবে তো তখন।

ছেলেটা ফালতু। সেদিন এমন করে ওর কাছে পড়ার কথা বলল ধীমানদা। না করতে পারলাম না। বুম্বা। চুটিয়ে ছোটোবেলায় সিনেমা টিনেমা করেছে। ওইসব করলে যা হয়, পড়াশোনাটা বন্ধ হয়েছে। এখন এখান ওখান থেকে টুকটাক রোজগার করে দেখেছি।

হ্যাঁ আমিও তো শীতলামন্দিরে ওদের বাড়ির পাশ দিয়ে আসা যাওয়ার সময় অনেকবারই সন্ধের দিকে দেখি দু-একটা মেয়ের সঙ্গে খিল্লি করছে। শুধু তো পড়িস? তোর সঙ্গে এত আলাপ হল কী করে রে? বাপের জন্মে দেখিনি স্যার ছাত্রীর সঙ্গে এমন করে মিশছে। চোখ লাল করে বলেন কস্তুরীর মা।

কস্তুরীর হাতের তেলো ঘেমে ওঠে। অদ্ভূত অস্বস্তি শরীরময় দাঁড়া বার করে কামড় দেয়। কী বলবে ও?

আমি ওনার হেল্প চাইনি মা। খুব নীচু স্বরে কথা কটা বলে ও।

সে তো বুঝলুম। কিন্তু ওইদিন তো স্যারের বাড়ি কেউ ছিল না। তুই এতক্ষণ কী করছিলিস? আমাদের একবার বলেও যাসনি দেরি হবে। আরেকটু হলে আমাদের খোঁজ নিতে দৌড়োতে হতো! তোর আক্কেলটা কী রকম?

শোনো বলছি এই মেয়ে কোনদিন না কাল ঘটায়! সব কী আমাদের মাপু পেয়ে। আমাদের কথা ভেবে বুঝেশুনে চলবে।

কস্তুরীর মা আরও কী কী সব বলে যাচ্ছিল। কিছুটা কানে আসছিল। কিছু আসছিল না। চাপ চাপ কষ্টগুলো হাতুড়ি পিটছিল বুকের ভেতরে। কী করে বাবা মাকে বোঝাবে কস্তুরী, ও আরও পড়তে চায়! এগিয়ে যেতে চায়।

দেখতে দেখতে কয়েকটা মাস কী করে কেটে গেছিল কস্তুরী নিজেও জানে না।

পারেনি। কোনওভাবেই টেস্ট পরীক্ষা দিতে পারেনি। পায়ে সেলাই অনেকটা শুকিয়ে গেলেও, মন ও শরীরের ক্ষত ছিল তখনও দগদগে। হারাবে না, বরং আরও একবার নিজে হারবে এই মনে করেই এসে দাঁড়িয়েছিল উচ্চমাধ্যমিকের রেজাল্ট বোর্ডের সামনে। লিস্ট টাঙাতে এখনও ঘণ্টাখানেক দেরি। অনেকে ওয়েবসাইট থেকে জেনে নেবে বলে সাইবার ক্যাফেতে অপেক্ষা করছে। কিন্তু কস্তুরীর মতো যারা স্বচক্ষে নিজের ভাগ্যের ফলাফল দেখতে চায়, তারা এসেছে স্কুল প্রাঙ্গণে।

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...