অন্তর দিয়ে অজন্তা দেখে, যাত্রা করেছি ঔরঙ্গাবাদ। পথ দূরত্ব প্রায় ৭৬ কিমি। ঘণ্টা তিনেকের মকদ্দমা। পিচঢালা পথ মাখন সদৃশ। ফলে বাসজার্নিতে সেরকম ক্লান্তি নেই। বাসে স্থানীয় মানুষজনের ভিড়। আর ভিনদেশী পর্যটক বলতে কেবল আমরাই। শেষপর্যন্ত শেষ বিকেলে গাড়ি এসে পৌঁছোয় ঔরাঙ্গাবাদে।

শহরটা কিন্তু খুবই ঘিঞ্জি। কেমন একটা মধ্যযুগীয় আমলের গন্ধ যেন তার গায়ে। ঔরঙ্গজেবের স্মৃতি বিজড়িত এই ঐতিহাসিক জনপদ, বর্তমানে মহারাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান বাণিজ্যিক শিল্পনগরী। ঔরঙ্গাবাদকে কেন্দ্র করেই দেখে নিতে হবে, বিশ্ববিখ্যাত ইলোরা গুহা, দউলতাবাদ দুর্গ ও অন্যান্য দ্রষ্টব্য। বাসস্ট্যান্ডের বাজারটা ছাড়িয়ে যেতেই চোখে পড়ে চমকদার বেশ কিছু হোটেল। তারই একটায় লাগেজ নামিয়ে চটপট ফ্রেশ হয়ে নিলাম। তারপর রিসেপশনে গিয়ে পরদিন ঘোরার জন্য গাড়ির ব্যাপারটা ফাইনাল করে নিলাম। পরপর বেরিয়ে পড়লাম আলো ঝলমলে শহরটাকে দেখতে। তবে এত ভিড়-ভাট্টা, বেশিদূর যাওয়ার আদৌ ইচ্ছা হল না। ডিনারের পর ডুব দিলাম ঘুমের দেশে।

সাকিলের গাড়িতেই সারাটা দিন ঘুরব। দ্বিতীয় রাউন্ড চা-পর্ব মিটতেই সে এসে হাজির। চাকা গড়াতেই চলে এলাম পানি চাক্বি। মধ্যযুগে এখানে জলশক্তির সাহায্যে চাকা ঘুরিয়ে শস্য পেষাই করা হতো। টিকিট সংগ্রহ করে ভিতরে প্রবেশ করলাম। প্লেনটা অনেকটা অঞ্চল জুড়ে পরিব্যপ্ত। জলের উৎস অবশ্য কাছাকাছি নেই। শুনলাম, প্রায় ছয় কিমি দূরের পাহাড়ি জলাধার থেকে মাটির পাইপ লাইনে জল আসত। উঠে গেলাম ওপরে। উঁকি-ঝুঁকি মেরে দেখলাম মধ্যযুগীয় সব কলকবজা। আধুনিক শিল্পবিপ্লবের আগে মধ্যযুগীয় এই শিল্পভাবনা বেশ অবাক করল! জলাভাবে এখন পেষাই যন্ত্র অচল। তবে লাগোয়া জমিতে গাছ-গাছালিতে ঘেরা এক সুন্দর বাগান। আর বাঁধানো এক জলাধার। সেই জলে খেলে বেড়াচ্ছে একাধিক রঙিন মাছ। পাশেই দেখে নিলাম, ঔরঙ্গজেবের সুফি ধর্মগুরু বাবা শাহি মুসাফির সাহেবের দরগা। এসব দেখে উঠে পড়লাম গাড়িতে।

এবার ‘দক্ষিণের তাজ’ দেখতে ছুটে চলে গাড়ি। ‘বিবি-কা-মকবরা’ ই ‘দক্ষিণের তাজ’ নামে খ্যাত। জায়গাটা অনেকটা এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। ছড়ানো সবুজের মাঝে এক শান্তির পরিবেশ। স্থানীয় মানুষজন ইলোরা ও ঔরঙ্গাবাদের আশপাশ সম্পর্কে গাইডবুক, ম্যাপ বিক্রি করছেন। কাউন্টার থেকে টিকিট কেটে ভেতরে প্রবেশ করলাম। দূর থেকে কিন্তু অনেকটাই মিল পাওয়া যায় আসল তাজের সঙ্গে। তবে যত কাছে যাচ্ছি, ভুলটা ভাঙছে। তাজের মতোই মাঝে শ্রেণিবদ্ধ ফোয়ারা রেখে কেয়ারি করা লনের দু’দিকে পায়ে চলা পথ। তবে অযত্নের ছাপ সর্বত্র।

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...