হিমাচল প্রদেশের সৌন্দর্য ভাষায় বর্ণনা করা যায় না৷ কুলু মানালির মতো জনপ্রিয় ডেস্টিনেশনের বাইরেও কিন্তু অপূর্ব কিছু স্পট আছে, যেখানে খুব বেশি পর্যটক যান না৷ সেই অচেনা স্পটের একটা হল নাহান৷আরেকটি অদেখা গ্রাম দোভি৷ আমরা আজ এই দুটি ডেস্টিনেশন তুলে ধরব আপনাদের সামনে৷
নাহান
হিমাচল প্রদেশের একটা ছোট্ট হিলস্টেশন, নাম তার নাহান। একসময় সিরমুর এস্টেটের সদর ছিল এই নাহান। চণ্ডীগড় থেকে খুব দূরে নয় এই অপরূপা পার্বত্য শহরটি। মাত্রই ঘন্টা তিনেকের দূরত্ব। ট্রেকিং, হাইকিং যাদের পছন্দ, এই নিরিবিলি হিলস্টেশন তাদের দারুণ ভালো লাগবে।
দিল্লি থেকে অনেকেই গাড়িতে ৩০০ কিলোমিটার অর্থাত্ ৬ ঘন্টার দূরত্বে পাড়ি দেন এই পাহাড়ি শহরে। আর-পাঁচটা নির্জন পাহাড়ি শহরের মতোই সর্পিল জঙ্গুলে পথ পেরিয়ে ঘুরে নিন বাধোলিয়া টেম্পল। সামনে পিক আর পাহাড়ের কোলে ঝরনা ও মন্দির নিয়ে পিকচার পোস্টকার্ড দৃশ্য। আর নীচে নামার সময় মুখোমুখি হবেন জালাল নদীর। চাইলে নিশ্চিন্তে স্নানও সেরে নেওয়া যায়, এতই নির্জন এর চারপাশ। নাহান উপত্যকা দিয়ে বয়ে চলে এই নির্জন নদী, অনেক ইতিহাস বুকে নিয়ে৷
রাতে তারাভরা আকাশ আর ঝিঁঝির ডাকের সঙ্গে ডিনার সারুন। পরদিন ঘুরে নিন রেণুকাজি মন্দির। পরশুরামের মা ছিলেন এই রেণুকাজি। এই মন্দিরের পাশেই বিরাট হ্রদ, পরশুরাম তাল। পাতা পড়ার শব্দ পাওয়া যায় এতই নির্জন। মন ভালো করার এক নিশ্চিন্ত ঠাঁই নাহান।
কীভাবে যাবেন : চণ্ডীগড় থেকে নাহানের দূরত্ব ১০০ কিলোমিটার। ট্রেনে বা গাড়িতে দিল্লি থেকে চণ্ডীগড় পেঁছোতে পারেন।
কোথায় থাকবেন : রাইটার্স হিল, প্লেজেন্ট ভিলা, সোনামন রিট্রিট প্রভতি থাকার জায়গার হদিশ আছে ইন্টারনেট-এ।
দোভি
কুলু থেকে দূরত্ব মাত্রই ২০ কিলোমিটার। কুলু এবং মানালির গ্ল্যামারের কাছে হারিয়ে গেছে এই পার্বত্য-গ্রামের নাম। কিন্তু যদি মনে করেন মানালি যাওয়ার আগে দুটো দিন সম্পূর্ণ নিরালা এই ডেস্টিনেশনে কাটাবেন-- হলপ করে বলতে পারি ঠকবেন না।