Haemoglobin আমাদের শরীরের সমস্ত প্রক্রিয়া সঠিক ভাবে সম্পন্ন করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে থাকে। কিন্তু রক্তে যখন হিমোগ্লোবিন-এর মাত্রা কমে যায় তখন আমরা অ্যানিমিয়া-র শিকার হই। অর্থাৎ শরীরে লোহিত রক্তকণিকার মাত্রা কমতে থাকে যার ফলে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে অক্সিজেন-এর ফ্লো কমে যায়। এর ফলে শারীরিক এবং মানসিক উভয়ক্ষেত্রেই গভীর প্রভাব পড়ে। শরীরে ক্লান্তি, মাথাঘোরা, ত্বকে হলদেটে ভাব, নিঃশ্বাস নিতে অসুবিধা হওয়া, মাথাব্যথা, ঘন ঘন ঠান্ডা লাগা, বুক ধড়ফড় করা ইত্যাদি লক্ষণগুলি প্রকট হতে থাকে। তাই শরীরে হিমোগ্লোবিন-এর মাত্রা সঠিক রাখা প্রয়োজন।

 

হিমোগ্লোবিনএর স্বাভাবিক স্তর

নর্মাল হিমোগ্লোবিন মহিলাদের ক্ষেত্রে ১২-১৫ গ্রাম/ ডিএল

নর্মাল হিমোগ্লোবিন প্রেগন্যান্ট মহিলাদের ক্ষেত্রে ১২-১৬ গ্রাম/ ডিএল

নর্মাল হিমোগ্লোবিন পুরুষদের ক্ষেত্রে ১৪-১৭ গ্রাম/ ডিএল

নর্মাল হিমোগ্লোবিন ইন ৬-১২ বছর বয়সি শিশুদের ক্ষেত্রে ১৩.৫ গ্রাম/ ডিএল

লো হিমোগ্লোবিন লেভেল মহিলাদের ক্ষেত্রে ১২-র  কম মানে আয়রনের অপুষ্টি এবং ১০-এর কম মানে আপনি অ্যানিমিক।

লো হিমোগ্লোবিন লেভেল পুরুষদের ক্ষেত্রে ১২-র  কম মানে শরীরে রক্তের অভাব আছে।

কী কারণ এর জন্য দায়ী

  • সুষম আহার গ্রহণ না করলে।
  • শরীরে ভিটামিন এবং খনিজের অভাব।
  • পিরিয়ড চলাকালীন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি রক্তক্ষরণ।

এর কী চিকিৎসা ? 

শরীরে হিমোগ্লোবিন-এর মাত্রা কম হয়ে গেলে, ব্লাড টেস্ট, ভিটামিন বি-৯, ভিটামিন বি-১২, ভিটামিন ডি-এর মতো কিছু জরুরি টেস্ট করাতে দেন ডাক্তার। টেস্ট-এর রেজাল্ট অনুযায়ী ডাক্তার চিকিত্সা করেন। শরীরে রক্তাল্পতা দেখা দিলে, হেমাটিনিক্স এজেন্টস-এর মতো নিউট্রিযে্ট যা কিনা রক্ত তৈরি করতে সাহায্য করে, যাতে আয়রন, ফলিক অ্যাসিড এবং ভিটামিন বি-১২ যথেষ্ট পরিমাণে সেটা রোগীকে দেওয়া হয়। এতে শরীরের সবরকম অভাব দূর হয়ে আগের মতোই জীবনযাপন করা সম্ভব হয়। এর সঙ্গে ভিটামিন ডি নেওয়াও আবশ্যক।

আসুন এই সম্পর্কে জানা যাক :

 

কীভাবে কাজ করে

আয়রন: শরীরে হিমোগ্লোবিন তৈরি করতে আয়রন-এর প্রয়োজন, যা কিনা লোহিত রক্তকণিকায় পাওয়া যায়। হেমাটিনিক্স থেকে শরীরে আয়রন-এর অভাব পূরণ হওয়ার ফলে এটি শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গে এবং টিস্যু পর্যন্ত অক্সিজেন পৌঁছোতে সহায়তা করে। এতে শরীরে আয়রন-এর অভাব যেমন পূরণ হয়, তেমনি সারা শরীরে অক্সিজেনও পৌঁছোতে পারে।

ভিটামিন বি১২: শরীরে ভিটামিন বি-এর অপুষ্টির কারণে ক্লান্তি এবং দুর্বল লাগে। এছাড়াও ভিটামিন বি-১২ এর অভাব অ্যানিমিয়া হওয়ার কারণও বটে, সেইসঙ্গে নার্ভস-ও ড্যামেজ করে। চিন্তা ভাবনা করার ক্ষমতার উপরেও এর প্রভাব পড়ে। হেমাটিনিক্স শরীরে ভিটামিন বি-১২ এর লেভেল সঠিক রাখতে সহায়তা করে। লোহিত রক্তকণিকা তৈরি করতে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

ফোলেট: হেলদি কোশ তৈরি করতে ফলিক অ্যাসিডের প্রয়োজন, বিশেষ করে লোহিত রক্তকণিকার। কিন্তু যদি শরীরে ফলিক অ্যাসিডের অভাব দেখা দেয় তাহলে শরীরে অস্বাভাবিক ভাবে বাড়ে লোহিত রক্তকণিকা। এর ফলে সঠিক ভাবে এটি কাজ করতে না পারায় শরীরে রক্তাল্পতা দেখা দেয়। কিন্তু হেমাটিনিক্স শরীরে ফলিক অ্যাসিড-এর স্তর সঠিক রাখতে সাহায্য করে।

ভিটামিন ডি জরুরি: এটা জেনে রাখা প্রয়োজন যে, ভিটামিন ডি শরীরে আয়রন, ক্যালসিয়াম, জিংক, ম্যাগ্নিশিয়াম, ফসফেট অ্যাবজর্ব করতে গুরুত্বপূর্ণ ভমিকা নিয়ে থাকে। একই সঙ্গে এটি হাড় এবং মাংসপেশিকে মজবুত করতেও সহায়তা করে। শরীরে ভিটামিন ডি কমে গেলে ক্লান্তি, হাড় দুর্বল হয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে আপনি ডিপ্রেশনেরও শিকার হতে পারেন। সুতরাং শরীরের সমস্ত অভাব পূরণ করুন হেমাটিনিক্স নিউট্রিয়েন্টস দ্বারা।

আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...