ত্বকের ওপেন পোরস্ আপনার ত্বককে করে তুলতে পারে জৌলুসহীন। বয়সের তুলনায় বেশি বয়স্ক দেখতে লাগে ত্বক। ব্ল্যাক হেড্স, ব্রণর সমস্যা বাড়ে বিশেষ করে তাদের, যাদের তৈলাক্ত ত্বক। অনেকেই এই সমস্যা থেকে নিষ্কৃতি পেতে নানা রকমের প্রসাধনী ব্যবহার করেন। কিন্তু অনেক সময় তা ত্বকের উপযুক্ত না হওয়ার ফলে, লাভের চাইতে ত্বকের ক্ষতিই হয় বেশি। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে, গৃহশোভা সাহায্য করবে আপনাকে। ঘরোয়া উপায়ে সমস্যার সমাধান করবেন কীভাবে, জেনে নিন।
কমলালেবুর খোসা ও বাদাম
রোমছিদ্র খোলা অবস্থায় বেশি দেখা যায় যখন ত্বক তৈলাক্ত হয়। মুখ ও নাকের চারপাশের পোরস্ নির্মূল করার সঙ্গে সঙ্গে, ত্বক পরিষ্কার করার বিষয়টিও মাথায় রাখা জরুরি। স্কিন এক্সফোলিয়েশনই এর একমাত্র সমাধান। এর জন্য কমলালেবুর খোসা ও বাদাম একসঙ্গে বেটে, ন্যাচারাল স্্ক্রাব তৈরি করুন। এই স্্ক্রাব ত্বকের মৃত কোশগুলি থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করবে। এর ফলে উন্মুক্ত রোমকূপের সমস্যা থেকেও পরিত্রাণ মিলবে।
দইয়ে ত্বক টানটান
রোমছিদ্র বন্ধ করতে ও ত্বকের দাগছোপ কমাতে দইয়ের বিকল্প নেই। স্নানের আগে ১০ মিনিট দই লাগিয়ে রাখুন মুখে। দইয়ের ল্যাকটিক অ্যাসিড পোরস্ বন্ধ করতে সহায়ক। ত্বকের টানটান ভাব ফিরিয়ে আনতে, মরা কোশ ঝরাতে এবং ত্বকের অতিরিক্ত তৈলভাব দূর করতে সাহায্য করে দই।
ডিমের সাদা অংশ ও লেবুর রস
ডিমের সাদা অংশ ত্বকের অতিরিক্ত তেল বের করে আনতে সাহায্য করে। এটা লেবুর রসের সঙ্গে মিশিয়ে প্যাক হিসাবে লাগালে, পোরস্ কমে যায়। ত্বকের রং উজ্জ্বল করতে, ত্বককে টাইট করতেও এটি সহায়ক।
একটা পাত্রে ডিমের সাদা অংশটার সঙ্গে অর্ধেক ভাগ লেবু মিশিয়ে তৈরি এই প্যাক, মুখে ১০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। টান ধরলে ধুয়ে নিন। সপ্তাতে অন্তত তিনদিন লাগান এই প্যাক।
অ্যাপেল ভিনিগার
অ্যাপেল ভিনিগার এক প্রাকৃতিক অ্যাস্ট্রিনজেন্ট এবং টোনার। এটি ত্বকের বাড়তি তেল বের করে আনার পাশাপাশি, ব্ল্যাক হেড্স নির্মূল করে। পোরস্ কমিয়ে ত্বক টানটান করতেও এটি সক্রিয় ভূমিকা নেয়।