শুধু মানুষ কিংবা জন্তু-জানোয়ারই নয়, কখনও আবার দরজা-জানলা কিংবা যানবাহনও সিনেমার কাহিনির কেন্দ্রীয় চরিত্র হয়ে ওঠে। এই যেমন দেবজিৎ হাজরা পরিচালিত ছবি ‘তুরুপের তাস’-এ প্রাধান্য পেয়েছে একটি গাড়ি চুরির ঘটনা। তরুণ-তরুণীদের হইহুল্লোড় দিয়ে ছবির কাহিনির সূত্রপাত হলেও, একটি গাড়ি চুরি যাওয়ার পর ঘনীভূত হবে আসল রহস্য।

দেবজিৎ হাজরা পরিচালিত ‘তুরুপের তাস’ ছবির কাহিনি শুরু হয় কয়েকজন ছেলে-মেয়ের বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনাকে কেন্দ্র করে। যারা সবে H.S. exam দিয়েছে। অয়ন( রিক দে ), অনন্যা ( শ্রেয়া ভট্ট্যাচার্য),  মৈনাক ( রেমো ) এবং ত্যানা (দ্বীপান্বিতা নাথ) পরীক্ষার পর  প্ল্যান করে, ওরা কোথাও বেড়াতে যাবে। যাকে বলে একেবারে ঝটিতি সফর। পরিকল্পনা অনুযায়ী ওরা অয়নের বাবার কেনা  নতুন একটা চারচাকার গাড়ি নিয়ে বেড়িয়ে পড়ে।

মৈনাক এবং ত্যানা পরস্পরকে খুব পছন্দ করে কিন্তু ওরা একে অপরকে এখনও প্রোপোজ করেনি। কিন্তু সেই সুযোগ আসে বেড়াতে বেরিয়ে। ওরা হাইওয়েতে একটা ক্যাফের সামনে এসে গাড়ি থেকে নামে। তখন মৈনাক অয়নকে বলে, ‘ভাই তোর গাড়ির চাবিটা দে, আজ আমি ত্যানাকে প্রোপোজ করবো।' অয়ন রাজি হয়ে যায়। মৈনাক খুব আবেগপ্রবণ হয়ে ত্যানাকে গাড়িতে বসিয়ে একটি ফ্লাইওভারের মাঝামাঝি গিয়ে গাড়ি  থামায়। মৈনাক ত্যানাকে গাড়ি থেকে বাইরে নিয়ে এসে প্রোপোজ করে। গাড়িটা ফ্লাইওভারের মাঝখানে রেখে ওরা দুজনে চারিদিকে ঘুরে বেড়াতে থাকে। কিন্তু কিছুক্ষণ পর ওরা দুজন ফিরে এসে দেখে যে, যেখানে ওরা গাড়িটা রেখেছিল, সেখানে গাড়িটা নেই। ওরা বুঝতে পারে যে, গাড়িটা চুরি হয়ে গেছে। এরপর ওরা চারিদিকে পাগলের মতো খুঁজতে থাকে গাড়িটাকে কিন্তু পায় না। একসময় ওরা খুব ভয় পেয়ে যায়। ত্যানা অয়নকে ফোন করে সেখানে আসতে বলে।

গাড়ি চুরির ঘটনার কয়েকদিন পর দেখা যায়, চুরি যাওয়া গাড়িটা একটা সেকেন্ডহ্যান্ড গাড়ির শোরুমের সামনে রাখা আছে। আর মেহবুব খান (সৌরভ দাস) নামে এক ব্যক্তি, যে গ্রামের অতি সাধারণ এক ব্যবসায়ী, সে ওই গাড়িটা কিনতে এসেছে। শোরুমের লোকেরা ফেক কাগজ বানিয়ে গাড়িটা মেহবুব খানকে বিক্রি করে দেয়। মেহবুব খান গাড়িটা নিয়ে যখন রাস্তায় যায়, তখন নাকা চেকিংয়ে গাড়িটা ধরা পড়ে। গাড়িটা সার্চ করে তাতে একটা ডেড বডি আর দুটো ইন-অ্যাক্টিভ বোমা পাওয়া যায়। মেহবুবকে টেররিস্ট সাসপেক্ট করে আইপিএস রাজদীপ দত্ত (যুধাজিৎ সরকার) আরেস্ট করেন। মেহবুব খানের পাঁচ বছরের জেল হয়। জেল থেকে বের হয়ে মেহবুব খান তার আইনজীবি  নীলাশা চৌধুরী মিলে একটা গ্যাং বানায়। পরে তদন্ত করে জানতে পারে যে, পাঁচ বছর আগে পলিটিসিয়ান ভানু প্রতাপ ( রজতাভ দত্ত)  ভোটে জেতার জন্য একটা পলিটিক্যাল কন্সপিরেসি করে ১২ কোটি টাকা ঘোটালা করেছিল আইপিএস রাজদীপ দত্তের সঙ্গে হাত মিলিয়ে। কিন্তু এরপর কী ঘটবে, তা-ই ছবির আসল ক্লাইম্যাক্স বলে জানানো হয়েছে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে।

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...