ইলেক্ট্রনিক অ্যাপ্লায়ান্সেস

আধুনিক জীবনশৈলীতে সময়ের বড়ো অভাব। শুধু তাই নয়, কম পরিশ্রমে সহজে কীভাবে রান্নাকাজ সারা যাবে, সেই বিষয়টিও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর সেইজন্যই চাই ইলেক্ট্রনিক কিচেন অ্যাপ্লায়ান্সেস। কিন্তু মনে রাখবেন, ইলেক্ট্রনিক অ্যাপ্লায়ান্সেস-এর সঠিক যত্ন না নিলে, তা খারাপ হয়ে যেতে পারে এবং দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে। ভালো ভাবে খোঁজ খবর নিয়ে কিনতে হবে ব্র‌্যান্ডেড জিনিস। কেনার সময় অবশ্যই সংগ্রহ করবেন ওয়ারেন্টি কার্ড।  মিক্সি, আভেন, চিমনি, টোস্টার, কফিমেকার, ফ্রিজ প্রভৃতি রান্নাঘরে ব্যবহারযোগ্য সামগ্রীর ব্যবহার-বিধি ও সঠিক যত্নের বিষয়ে জ্ঞান এবং সচেতনতা না থাকলে বিপদে পড়ার সম্ভাবনা থাকবে।

  • ইলেক্ট্রনিক অ্যাপ্লায়ান্সেস-এর ব্যবহার করার পর বন্ধ করতে ভুলবেন না
  • ফ্রিজ বারবার খুলবেন না, এতে বিদু্যতের খরচ বাড়বে এবং ফ্রিজে রাখা জিনিসপত্রে জীবাণু আক্রান্ত হতে পারে
  • খাবার গরম করার জন্য মাইক্রো আভেন ব্যবহার করুন। এতে সময় বাঁচবে। কারণ, খাবার গরম করতে সময় লাগে মাত্র এক থেকে দেড় মিনিট। কিন্তু মনে রাখবেন, মাইক্রো আভেনে ব্যবহারের উপযোগী পাত্র ছাড়া অন্য কোনও পাত্র ব্যবহার করবেন না। সাধারণ প্লাস্টিকের পাত্র এবং কোনও স্টিল-এর পাত্র ব্যবহার করলে দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। ভালো মানের কাচের পাত্র এবং ফাইবার-এর পাত্র ব্যবহার করা নিরাপদ। আর পাউরুটি গরম করবেন না এবং ডিমের পোচ তৈরি করবেন না মাইক্রো আভেনে, এতে মাইক্রো আভেন ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে
  • কোম্পানির দেওয়া গাইডলাইন মেনে পরিষ্কার করুন কিচেন অ্যাপ্লায়ান্সেস। শুকনো সূতির কাপড়, বেকিং পাউডার এবং লেবুর জল দিয়ে পরিষ্কার করতে পারেন কিন্তু অবশ্যই নিয়ম মেনে। আর অ্যাপ্লায়ান্সেস পরিষ্কার করার সময় অবশ্যই বিচ্ছিন্ন করবেন বিদু্যত্ সংযোগ। মাইক্রো আভেন, টোস্টার প্রভৃতি তাপবাহী অ্যাপ্লায়ান্সেস ঠান্ডা না হলে পরিষ্কার করতে যাবেন না, এতে হাত পুড়ে যেতে পারে
  • রান্নাঘরে যেন পর্যাপ্ত আলো থাকে। কারণ, পর্যাপ্ত আলো না থাকলে রান্নার সামগ্রীতে চুল কিংবা অন্যান্য ময়লা পড়তে পারে এবং সবজি কাটার সময় হাত কেটে যেতে পারে। অতএব, রান্নাঘরে অবশ্যই একটা বা দুটো টিউবলাইট লাগাবেন এবং তা যেন ভালো ব্র‌্যান্ড-এর হয়

রান্না শুরু হলেই এগজস্ট ফ্যান অথবা চিমনি ব্যবহার করবেন অবশ্যই। আর অ্যাপ্লায়ান্সেস ক্লিনিং-এর জন্য ট্রেন্ড সার্ভিস পার্সন-এর সাহায্য নেবেন অবশ্যই।

ইন্টিরিয়র ও হেল্থ কানেকশন

কর্মব্যস্ত দিনের শেষে বাড়ি ফিরে সবাই চান একটু আরামে থাকতে। কিন্তু যদি অগোছালো ঘর, ফিকে হয়ে আসা রঙের দেয়াল কিংবা ম্লান আলো চোখে পড়ে ঘরে ঢুকলেই, তাহলে অবসাদ গ্রাস করার সম্ভাবনা প্রবল হয়। আসলে এ ক্ষেত্রে গৃহসজ্জার ত্রুটির কারণে যোগ হয়ে যায় স্বাস্থ্যহানির বিষয়টিও।

নিউরো স্পেশালিস্ট-এর মতে, ঘরের অভ্যন্তরীণ সজ্জা সৌন্দর্যহীন হলে এবং হাইজিনিক না হলে, এর কুপ্রভাব পড়তে পারে ওই ঘরে বসবাসকারী সদস্যদের উপর। আর আপনার গৃহসজ্জার ত্রুটি যদি দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে আপনি অবসাদগ্রস্ত হয়ে স্বাস্থ্যহানির শিকার হতে পারেন।

রঙের বৈশিষ্ট্য

ঘরের অভ্যন্তরীণ দেয়ালের রং খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর্কিটেক্ট নীতা সিন্হা দাস প্রসঙ্গত জানিয়েছেন, মানুষের  বাহ্যিক সাজপোশাক যেমন তার ব্যক্তিত্বের পরিচয় বহন করে, তেমনই, ঘরের অভ্যন্তরীণ দেয়ালের রং গৃহস্থের রুচির পরিচয় বহন করে এবং স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে।

আসলে রঙের একটা আলাদা মাহাত্ম্য আছে। দেয়ালের রং বাসিন্দার মনের রঙের প্রতিফলন ঘটায়। ইন্টিরিয়র ডিজাইনার নাতাশার মতে, ‘দেয়ালে লাগানো ভালো রং যেমন মন ভালো করে, ঠিক তেমনই খারাপ রং অবসাদগ্রস্ত করে তোলে। তাই ঘরের দেয়ালের রং নির্বাচনের ক্ষেত্রে সতর্কতা জরুরি।’

কোন রঙের কেমন প্রভাব পড়ে মানুষের দেহে মনে, এই প্রশ্নের উত্তরে ইন্টিরিয়র ডিজাইনার নাতাশা জানান, গাঢ় লাল, নীল, হলুদ, সবুজ রং খুব উজ্জ্বল কিন্তু বেডরুম-এ এই রং ব্যবহার করা উচিত নয়। কারণ, গাঢ় লাল রং রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয় আর গাঢ় নীল, হলুদ, সবুজ চিত্ত চঞ্চল করে তোলে। এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়ে শিশুদের উপর। অবশ্য এত-সত্ত্বেও অনেকে বেডরুম-এ গাঢ় লাল, নীল, সবুজ প্রভৃতি রং ব্যবহার করেন এবং এর কুপ্রভাবের শিকার হন। কিন্তু যদি সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার কথা ভাবা হয়, তাহলে বেডরুম-এ হালকা রং ব্যবহার করা উচিত। এ ক্ষেত্রে হালকা গোলাপি, হালকা হলুদ কিংবা হালকা নীল রং ব্যবহার করা উচিত বেডরুম-এর দেয়ালে। তবে দেয়ালে সাদা রং ব্যবহার না করলেও সিলিং-এ সবসময় সাদা রং ব্যবহার করবেন। কারণ, সিলিং-এর সাদা রং ঘরে পর্যাপ্ত আলো ছড়াতে সাহায্য করবে।

আলোর সঠিক প্রয়োগ

রঙের পর ঘরের অভ্যন্তরীণ সজ্জায় যা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ, তা হল আলো। বিশেষ করে বাড়ির যে-সব ঘরে পর্যাপ্ত প্রাকৃতিক আলোর অভাব রয়েছে, সেইসব ঘরে বেশি সংখ্যক সাদা আলোর প্রয়োগ করা উচিত। এরজন্য নামি ব্রান্ড-এর সরু টিউবলাইট-ই উপযুক্ত। মুখোমুখি দুটি দেয়ালে উপযুক্ত জায়গায় দুটি টিউবলাইট ব্যবহার করা উচিত। এতে ঘরে পর্যা৫ আলো হবে এবং প্রাকৃতিক আলোর অভাবও অনুভূত হবে না।

ঘরে সর্বদা স্মার্ট লাইট ব্যবহার করুন। এলইডি লাইট ব্যবহার করলে, মোটা কাচের শেড ব্যবহার করবেন না। কারণ, ভারী বস্তুর চাপ দেয়াল বেশিদিন ধরে রাখতে পারে না এবং এতে বেশি তেলময়লা আটকে যায়।

কম পাওয়ার-এর অন্তত একটা করে সবুজ আলো লাগিয়ে রাখুন ঘরে। বিশ্রামের সময় সবুজ আলো চোখকে আরাম দেয় এবং এক মায়াবি আবহ তৈরি করে। যদি সম্ভব হয় তাহলে আলোর উপকরণ (বাল্ব কিংবা টিউবলাইট) এমন ভাবে লাগিয়ে রাখুন, যা বাইরে থেকে সহজে দেখা যাবে না কিন্তু সঠিক মাত্রায় আলো ছড়াবে। এতে ঘর আরও স্মার্ট-লুক দেবে।

ফার্নিচার-এর সঠিক ব্যবহার

কী রঙের, কত সংখ্যক ফার্নিচার, কোন ঘরে কীভাবে ব্যবহার করা উচিত, তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ঘরে চলাফেরার এবং আলো-হাওয়া ঢোকার উপযুক্ত জায়গা রেখে তবেই ফার্নিচার ব্যবহার করা উচিত। কারণ, ফার্নিচার যদি ঘরের মাপের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সঠিক ভাবে ব্যবহার না করা হয়, তাহলে যেমন ঘরের অভ্যন্তরীণ সৌন্দর্য নষ্ট হবে, তেমনই চলতে-ফিরতে অসুবিধে হবে এবং ঘিঞ্জি পরিবেশ দেহ-মনে কুপ্রভাব ফেলবে।

বেডরুম-এ ডিজাইনার খাট এবং আলমারি ছাড়া আর কিছুই রাখা উচিত নয়। ড্রইং-রুম-এ রাখুন সিঙ্গল চারটি সোফা-চেয়ার কিংবা একটি সোফা কাম বেড। সঙ্গে একটা কাচের সেন্টার-টেবিল রাখতে পারেন। দেয়ালের একদিকে রাখতে পারেন শো-কেস। ডাইনিং রুম বা স্পেস-এ রাখুন গোল কিংবা আয়তকার ডাইনিং টেবিল এবং চারটি হাতলবিহীন চেয়ার। গেস্টরুম কিংবা এক্সট্রা রুম-এ রাখুন একটি খাট কিংবা ডিভান এবং শো-কেস-এ রাখুন বই, সিডি এবং  ডিভিডি।

ঘরের অন্যান্য সামগ্রী

বই, খাতা, বাচ্চার স্কুলের ব্যাগ কিংবা আপনার অফিস ব্যাগ রাখুন কাঠের আলমারিতে। কোনও জিনিস ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রাখবেন না। প্রসাধন সামগ্রী রাখুন বক্স-যুক্ত ড্রেসিং-টেবিল-এ। দেয়ালে লাগাতে পারেন এলইডি টিভি, ছোটো স্পিকার ইত্যাদি।

ঘরের দেয়ালের রঙের সঙ্গে মানানসই পর্দা ব্যবহার করুন দরজা জানলায়। এক্ষেত্রে ওয়াশেবল (ড্রাই) পর্দা ব্যবহার করা ভালো। সম্ভব হলে ঘরের সিলিং ফ্যান কিনুন ভালো ব্রান্ড-এর এবং পাখার রং অবশ্যই দেয়ালের রঙের কথা মাথায় রেখে কিনুন। ড্রইং রুম-এ কার্পেট ব্যবহার করলে তা স্টিল গ্রে রঙের হলেই বেশি ভালো লাগবে। এ ভাবেই যদি সৌন্দর্য এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে ইন্টিরিয়র ডেকোরেশন করেন, তাহলে এর সুফল পাবেন অবশ্যই।

মন রাঙানোর রং

রং আমাদের চিন্তা-ভাবনা, বোধ-বুদ্ধিকে বিকশিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আকর্ষণীয় এবং সহজে দৃষ্টি আকর্ষণ করার ক্ষমতা রাখে  রং-এর বাহার। শুধু তাই নয়, রং আমাদের এনার্জি লেভেলকেও বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। সঠিক অনুপাতে যদি রঙের ব্যবহার করা হয় তাহলে বিশেষ কিছু রং এবং তাদের মিশ্রণ মুহূর্তে ঝিমিয়ে পড়া পরিবেশে প্রাণের স্পর্শ এনে দিতে পারে।

আলাদা আলাদা সাজাবার জিনিস যেমন পেন্টিং, ল্যাম্প, ফুলদানি, ওয়ালপেপার, গাছ, ফুল, লাইট, শিল্পকলা, মূর্তি, ফার্নিচার ব্যবহার করে বিভিন্ন রং-এর সমাবেশ করা যায়। এগুলোর সঙ্গেই সাজাবার জিনিসপত্র যেমন, মোমবাতি থেকে শুরু করে সফ্ট ফার্নিশিং যেমন পরদা, ড্রেপ, কুশন, টিউব পিলো, বেড ও বাথরুম লিনেন, ডাইনিং টেবিল সেট, ম্যাট, রানার ইত্যাদির রং, ঘরের সৌন্দর্য বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়।

রান্নাঘরে কিচেন ওয়্যার যেমন ক্রকারি, বেক অ্যান্ড সার্ভ ওয়্যার, ট্রে ইত্যাদি ব্যবহারের ক্ষেত্রেও বিভিন্ন রং মিলিয়ে মিশিয়ে ঘরের সৌন্দর্য বাড়িয়ে তোলাই যায়। ট্রেন্ডি শেড্‌স, প্যাটার্ন এবং প্রিন্ট-এর সমন্বয়ে তৈরি ফ্যাব্রিক ব্যবহার করে বাড়ির সৌন্দর্য-কে সম্পূর্ণ করে তুলতে পারেন।

অনেক সময় রং বাছতে গিয়ে কনফিউশন তৈরি হতে পারে। সেক্ষেত্রে রং বাছার দায়িত্বে প্রফেশনাল হায়ার করাও যেতে পারে।

এক্সপার্ট-ই বলে দিতে পারবেন গৃহকর্তার জন্য কোন কোন রং উপযুক্ত এবং বাড়ির সকলের ব্যক্তিত্ব ফুটিয়ে তুলতে সেই রং কতটা সাহায্য করতে পারে।

লাল রং

গতিশীলতা, উৎসাহ এবং দৃঢ় সংকল্পের রং হল লাল। আবার স্বেচ্ছাচারিতা, ক্রোধ সংবরণ করতে না পেরে মুহূর্তে ক্রোধিত হয়ে ওঠারও প্রতীক হল লাল রং। লাল রং এতটাই ডায়নামিক যে, এই রং যারা পছন্দ করে তারাও ততটাই উৎসাহী এবং বর্হিমুখী স্বভাবের এবং একই সঙ্গে আত্মবিশ্বাসে ভরপুর।

নীল রং

এই রং বিশ্বাস, নিষ্ঠা, সুব্যবস্থা, শান্তি এবং ধৈর্যের প্রতীক। যারা এই রং পছন্দ করে তারা সাধারণত দয়ালু, আশাবাদী এবং অনুমান করার ক্ষমতা রাখে। তাছাড়াও এরা কাউকে দোষী সাব্যস্ত করলে সহজে তাকে ক্ষমা করতে পারে না এবং ব্যক্তিগত ভাবে তারা খুব একাকী হয়।

সবুজ রং

সবুজ রং যারা পছন্দ করে তাদের মস্তিষ্ক এবং হৃদয়ের মধ্যে সঠিক বোঝাপড়া চলতে থাকে। এরা সাধারণত সংবেদনশীল, প্রকৃতিপ্রেমী, ব্যবহারকুশল এবং পরিবারের জন্য সমর্পিত হয়।

হলুদ রং

পজিটিভ এবং নেগেটিভ মানসিকতার মিশ্রিত রং হল হলুদ। এই রং যেমন আশাবাদী, উৎসাহ, বুদ্ধমত্তা এবং তার্কিক স্বভাবের প্রতীক তেমনই এই রং কোনও ব্যক্তিকে বিশ্লেষণধর্মী, কুণ্ঠিত স্বভাব এবং অহংকারীও করে তোলে।

সাদা রং

পূর্ণতার রং হল সাদা। স্বতন্ত্রতা এবং পবিত্রতার প্রতীক এই রং যেমন প্রেরণা জোগায় তেমনি ঐক্য, সদ্ভাব, সমানাধিকার এবং পূর্ণতা প্রদান করে।

বেগুনি রং

এই রং যারা পছন্দ করেন তারা সৗম্য, উৎসাহী এবং আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্বের অধিকারী হন। অপরের উপর নির্ভরশীল হন ফলে সংসারের দৈনন্দিন দায়িত্বগুলি এড়িয়ে চলাই পছন্দ করেন। লোক চিনতে এদের ভুল হয় না এবং নিজেকে সিংহাসনে আসীন দেখতে ভালোবাসেন।

ধূসর রং

গ্ল্যামারাস রং হিসেবে এটিকে গণ্য করা হয়। নিরাশাজনক, বোরিং, উদাসীন হওয়া সত্ত্বেও এটি সুন্দর, পরিপক্ব এবং ক্লাসিক একটি রং। এটি স্থিরতা এবং শালীনতার সঙ্গে সঙ্গে সৗম্য ব্যক্তিত্বেরও পরিচয় বহন করে।

কালো রং

দৃঢ়, সীমিত, সুন্দর, আকর্ষণীয়, ঠান্ডার আমেজ এনে দেয় কালো রং। গাঢ় এই রংকে অনেকে অশুভ মনে করে। এই রং-এ লুকিয়ে আছে রহস্যের ছোঁয়া, নিরাশা এবং জীবনকে প্র্যাকটিকাল হয়ে বিচার করার মানসিকতা।

বাদামি রং

যারা এই রং পছন্দ করেন তারা স্বভাবে গম্ভীর এবং মাটির খুব কাছাকাছি মানুষ হন। ভদ্র স্বভাবের এই মানুষরা খুব সহজ সরল এবং নির্ভরশীল হওয়া সত্ত্বেও কৃপণ স্বভাবের হয়ে থাকে সাধারণত।

কমলা রং

উচ্ছলতা এবং রোমাঞ্চ যারা ভালোবাসেন, আকর্ষণীয় এই রং-টি তাদের জন্য। সহৃদয়, আশাবাদী, খোশমেজাজি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এরা অসামাজিক এবং অত্যন্ত অহংকারী প্রকৃতির হয়ে থাকেন।

গৃহিণীদের জন্য কিচেন টিপ্স

বাড়ির সবার আবদার মেটাতে রবিবারের সকালটা কিচেনে আপনার উপস্থিতি মাস্ট। সবার মনের মতো সুস্বাদু রান্নায় যে আপনি সিদ্ধহস্ত, তা এতদিনে জেনে গেছে বাড়ির সকলে। সারা সপ্তাহ নানা কাজ সামলে রান্নার কাজটাও আমার গুরুদায়িত্ব। তবে কিচেন ম্যানেজমেন্ট-এর কঠিন কাজটা সহজ করার জন্য বিশেষ দক্ষতা লাগে না। লাগে কিছু জরুরি পরামর্শ। আপনার জীবনযাপনকে সহজ করতে আমাদের কিছু সহজ টিপ্স।

শেফ ছুরিতে কেল্লাফতে

এই ছুরিগুলি রান্নাঘরের অত্যন্ত অপরিহার্য জিনিস। ৭টি ছুরির এই সেট আপনার গৃহস্থালীর কাজকর্ম অনেক সহজ করে দেবে। যদি ৭টি ছুরি একবারে না কিনতে চান তাহলে কোনও বড়ো দোকান থেকে, ৩ঙ্ম০ থেকে ৭ঙ্ম০ টাকার মধ্যে ভালো একটা শেফ নাইফ কিনুন। বছরে একবার করে ছুরিতে ধার অবশ্যই দেওয়ান। ভুলেও এটা ডিশওয়াশার বা অ্যালুমিনিয়াম স্্ক্রাবের দিয়ে পরিষ্কার করতে যাবেন না। স্পঞ্জ দিয়ে হালকা হাতে সাফ করুন।

মাংস পরিষ্কার জরুরি

ফল-সবজি বাজার থেকে কিনে যে-ভাবে ভালো করে ধুয়ে ব্যবহার করেন, মাংসের ক্ষেত্রেও সেটা জরুরি। ধুলে মাংসের স্বাদ কমে যায়, এই ধারণা ভুল। মাংস কাটার পর পরিষ্কার করে ধুয়ে তবেই রান্না করুন।

মাল্টিপারপাস বাসন

বাসন কেনার সময় খেয়াল রাখবেন, যেন আপনার ব্যবহূত পাত্রটি একাধিক কাজে ব্যবহার করা যায়। যেমন কড়াইয়ের গভীরতা এমন হওয়া উচিত যাতে সেটা ডিপফ্রাইয়ের সঙ্গে সঙ্গে সবজি রান্নাতেও কাজে দেবে। আবার ফ্রাইং প্যানটাও যেন গভীর হয়, যাতে বিভিন্ন সবজি রান্নার কাজেও লাগে। প্রয়োজন ও পদ অনুযায়ী আপনি বাসন কিনতেই পারেন। কিন্তু অতিরিক্ত বাসন কিনে ঘর ভরাবেন না। মাল্টিপারপাস বাসন সেদিক থেকে অনেক লাভদায়ক।

কিচেন ম্যানেজমেন্ট জরুরি

কিচেনের মধ্যে বাসনপত্র ছড়িয়ে রাখবেন না। এর ফলে রান্নার সময় হাতের কাছে জরুরি সরঞ্জাম পাওয়া মুশকিল হবে। রান্নার কাজও বিলম্বিত হবে। প্রতিটি বাসন তার নির্দিষ্ট ড্রয়ারে রাখুন। ক্যাবিনেটে মশলার পাত্রও গুছিয়ে রাখুন।

সবজি স্টোর করাও একটা আর্ট। বাঁধাকপি, ব্রোকোলি আর অন্য সবজি স্টোর করার পদ্ধতি আলাদা আলাদা। প্রত্যেকটি নির্দিষ্ট বাক্সে রাখুন। মশলা দীর্ঘদিন তাজা রাখতে হলে রোদে একবার করে শুকিয়ে কৗটোয় ভরুন, নয়তো শুকনো খোলায় নাড়াচাড়া করে নিন। ইন্টারনেটে পড়তে পারেন, কোন মশলা কীভাবে স্টোর করা যায়, সেই বিষয়ে।

তাজা হার্বস-এর ব্যবহার

আপনার রান্নার স্বাদে একটা পরিবর্তন আনতে পারে তাজা হার্বস-এর ব্যবহার। এর ব্যবহারে খাবার সুস্বাদু হয়ে ওঠে। হার্বস কেনার একটাই সমস্যা, এটি রান্নায় অল্প পরিমাণে লাগলেও, কেনার সময় অনেকটা বেশি কিনতে হয়। রোজমেরি, বেলিভ্স, থাইম প্রভৃতি হার্ব, ড্রাই পেপারে জড়িয়ে ফ্রিজে রাখবেন। এক সপ্তাহ তাজা থাকে।

ঋতু অনুযায়ী ফল-সবজির ব্যবহার

খাবার সুস্বাদু করতে সিজনাল ফ্রুটস ও ভেজিটেবল্স ব্যবহার করুন। এর ফলে সময়কালীন ফল-সবজির গুণাগুণে যেমন আপনার শরীর উপকৃত হবে, তেমন খাবারের স্বাদেও বৈচিত্র্য আসবে।

মেথডিক্যাল হোন

পরিশ্রম বাঁচাতে হলে আপনাকে আরও কিছুটা মেথডিক্যাল হতে হবে। ঘরেই রান্না করুন বা অন্যত্র, একটা কুকিং প্ল্যান আগাম বানিয়ে নিন। এর ফলে টাইম ম্যানেজমেন্ট করতে সুবিধা হবে। একটা রান্নার ফাঁকে অন্য পদ তৈরির প্রস্তুতি নেওয়াও সহজ হবে। সবজি, মশলা সব নির্দিষ্ট পরিমাণে প্লেটে বা বোল-এ ঢেলে রাখুন। রান্নার পর যে-পাত্রে খাবারটা রাখবেন, সেটাও আগে থেকে রেডি রাখুন। এর ফলে রান্না এবং সার্ভ করা, দুটোই তাড়াতাড়ি হবে।

ওয়ার্ডরোব গোছানোর ট্রিক্স

তাড়াহুড়োর মধ্যে বেশিরভাগ সময় অর্ধেক জিনিসই ওয়ার্ডরোব-এ খুঁজে পেতে অসুবিধা হয়। তার কারণ হচ্ছে অগোছালো জিনিসপত্র এবং ওয়ার্ডরোব-এর অপর্যাপ্ত আলো। অথচ দৈনন্দিন জীবনে ওয়ার্ডরোব-এর প্রয়োজন অবহেলা করার নয়। ওয়ার্ডরোব-এ কীভাবে গুছিয়ে রাখবেন আপনার নিত্য প্রয়োজনীয় প্রিয় আলমারিটি তারই কিছু পরামর্শ এখানে দেওয়া হচ্ছে।

  • ওয়ার্ডরোব সবথেকে নীচের তাকটি আগে গুছিয়ে নেওয়া দরকার। আধুনিক বেশিরভাগ ওয়ার্ডরোব সঙ্গে নীচে একসঙ্গে একটা শু-বক্স দেওয়া থাকে। সুতরাং বাড়িতে শু-র্যাক না থাকলে, ফ্লোরে জুতো না রেখে টেম্পোরারি নতুন জুতো ওই শু-বক্সেই গুছিয়ে রাখুন। পরে শু-র্যাক কিনে নিতে পারেন বা হ্যাংগিং শু-অর্গানাইজার-ও, বাক্সের বদলে ব্যবহার করতে পারেন।
  • সপ্তাহে একদিন অন্তত আধঘন্টা সময় দিন পুরো আলমারিতে কী কী আছে দেখার জন্য। যেগুলো একদম পরেন না সেগুলি একটি কিংবা দুটি বাক্সে গুছিয়ে রাখুন। একটি আলমারিতেই রাখুন অসময়ে দরকারের জন্য এবং অন্য বাক্সটি অন্যত্র সরিয়ে রাখুন। লক্ষ্য হচ্ছে, যে পোশাকগুলি সবসময় পরছেন সেগুলি ওয়ারড্রোবে গুছিয়ে রাখা এবং বাকি পোশাক স্টোরেজে রেখে দেওয়া অথবা অন্য কেউ পরতে চাইলে তাকে দিয়ে দেওয়া। তবে সারাজীবন ধরে এটা করে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না। একবার ওয়ারড্রোবের জিনিসপত্র কম হয়ে গেলে তখন মাসে একবার করে আলমারি গোছালেই চলবে।
  • যে পোশাকগুলি আপনি পরতে চান না বা পছন্দ করেন না সেগুলো কোনও অনাথ আশ্রম বা ত্রাণশিবিরে দান করে দিতে পারেন। তাই বলে দাগ লাগা, ছিঁড়ে যাওয়া বা ফুটো হয়ে যাওয়া জামাকাপড় অপরকে দান করা বাঞ্ছনীয় নয়। যদি তারা এই ধরনের ছেঁড়া, ফাটা জামাকাপড় নিতে আগ্রহী হয় তবেই এগুলি তাদের দিতে পারেন নয়তো এগুলি ফেলে দিন।
  • একটা ড্রেস হয়তো অনেকদিন ধরে আপনার ওয়ারড্রোবে পড়ে রয়েছে কিন্তু আপনি শিওর নন ওটা পরে আপনাকে কেমন লাগবে, ওটা রাখবেন না ফেলবেন বুঝে উঠতে পারছেন না। সেই ক্ষেত্রে আয়না এবং ক্যামেরার সাহায্য নিন। পোশাকটির সঙ্গে যা কিছু সেন্টিমেন্ট সব ঝেড়ে ফেলে দিন। পোশাকটি পরে আয়নায় নিজেকে দেখুন আপনাকে মানাচ্ছে কিনা অথবা যদি কনফিউজ হয়ে যান তাহলে আয়নায় নিজের প্রতিচ্ছবির একটি ছবি তুলে নিন ক্যামেরায়। ক্যামেরায় নিজের ছবি দেখে বোঝা অনেক সহজ হয়ে যাবে, আদৗ পোশাকটি আপনাকে মানাচ্ছে কিনা।
  • আপনি হয়তো আগে মোটা ছিলেন। ডায়েট কন্ট্রোল এবং জিম করে অনেকটাই রোগা হয়েছেন। সুতরাং মোটা থাকা অবস্থায় কেনা পোশাক এবং বর্তমানে রোগা হওয়ার পর কেনা পোশাক আলাদা করুন। যদি মনে করেন মোটা অবস্থায় যখন ছিলেন তখনকার কেনা পোশাক সামনে রাখতে চান নিজের ডায়েটের উপর কন্ট্রোল রাখার জন্য তাহলে একটা বা দুটো পোশাকই যথেষ্ট আলমারিতে রাখার জন্য। যেটা সর্বক্ষণ আপনাকে মনে করাবে ডায়েটে থাকার কথা এবং যেটা কন্ট্রেল না করলেই আবার মোটা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে। বাকি ওভার সাইজ পোশাক বাতিল করুন।
  • নতুন পোশাক যখনই কিনবেন, একটা পুরোনো পোশাক আলমারি থেকে সরিয়ে দিন। যে-কোনও কিছু নতুনের বদলে খারাপ হয়ে যাওয়া পুরোনো জিনিস স্যাক্রিফাইস করুন। হয়তো পাহাড়ে ঘুরতে যাওয়ার জন্য একটা ট্রেকিং-শু কিনে আনলেন, তাহলে জুতোর বাক্সে পড়ে থাকা পুরোনো কাপড়ের জুতোটা যেটা চার-পাঁচটা বর্ষায় তথৈবচ অবস্থা সেটা রেখে দেওয়াটা কি একান্তই দরকার? ভেবে দেখুন।
  • ওয়ার্ডরোব-এর ভিতরে আলোর ব্যবস্থা রাখুন। অনেক সময় আলমারির পিছনের দিকটা হাত দিতেই ইচ্ছে করে না, অন্ধকার থাকে বলে। একটা ক্লিপ লাইট আলমারির ভিতরে ঝোলাবার ব্যবস্থা করতে পারেন। অথবা ব্যাটারি চালিত স্টিক লাইট ও হার্ডওয়্যার দোকান থেকে কিনে এনে আলমারিতে ফিট্ করে দিতে পারেন। আলমারির ভিতর পর্যন্ত আলো পৌঁছোলে তবেই পিছনের দিকে থাকা জিনিস চোখে পড়বে এবং সেগুলো ব্যবহারের কথা মনে হবে।
  • আলমারিতে কোথায় কী টাঙিয়ে রাখবেন সেটা নিয়ে অনেকের সমস্যা থাকে। যেগুলো মাঝেমধ্যে ব্যবহার হয় সেগুলো পিছনের দিকে রাখা যেতে পারে। রোজের ব্যবহারের জিনিস সামনের দিকে রাখা ভালো।
  • শাড়ির সঙ্গে ম্যাচিং ব্লাউজ এক জায়গায় করুন আর সঙ্গে ম্যাচিং পেটিকোট। সালোয়ার কামিজ সেট করে গুছিয়ে তুলুন। শার্ট, কুর্তা, জাম্পার ইত্যাদি একদিকে রাখুন এবং প্যান্ট, পালাজো, লেগিংস, লং স্কার্ট ইত্যাদি একদিকে যাতে সময় নষ্ট না করে ম্যাচিং করিয়ে চট্ করে পরে নেওয়া যায়।
  • ভাবছি এটা কাল পরব, সোয়েটারটা নোংরা নয় আবার পুরোপুরি পরিষ্কারও বলা চলে না– এরকম কনফিউশন সবারই হয়। এমন একটা পোশাক বাছি যেটা কয়েকদিনই মাত্র পরা হয়েছে এবং আরও এক দুদিন পরা যাবে। উদাহরণ হিসেবে সোয়েটার, দামি শাড়ি, স্যুট ইত্যাদি বলা যায়। এগুলো একবার পরেই কেউ কাচে না। সুতরাং এগুলোর জন্য আলমারিতে একটা আলাদা র্যাক করুন।
  • প্রয়োজনীয় হ্যাঙ্গার কিনে আনুন। শার্টের জন্য, প্যান্ট, শাড়ি, লঞ্জিরি ইত্যাদি সবকিছুর জন্যই আলাদা আলাদা হ্যাঙ্গার পাওয়া যায়। হ্যাঙ্গারে টাঙিয়ে রাখা পোশাক তাহলে আলমারির ফ্লোরে পড়ে দলা পাকিয়ে যাবে না।
  • পোশাক কেনার সময়, যা আছে তার সঙ্গে কো-অর্ডিনেট করে কেনাটা জরুরি। আলমারিতে রাখা পোশাকের কথা মাথায় রেখে নতুন পোশাক ম্যাচ করে কিনলে আপনিই লাভবান হবেন। আলমারির সামনে দাঁড়িয়ে অর্ধেক পোশাক পরে বাকিটা ম্যাচিং করে কী পরবেন সেটা ভাবতে হবে না।

নবজাতকের দেখাশোনায় বিশেষ যত্ন নিন

বাবা-মায়ের কাছে সন্তান অমূল্য ধন। একজন মায়ের নাড়ি ছেঁড়া ধন হল সন্তান। সন্তান আর মায়ের সম্পর্ক জন্মের আগে থেকে শুরু হয় আর এটি পূর্ণতা পায় সন্তান বড়ো হওয়ার সাথে সাথে। কিন্তু মায়ের কিছু ভুল আর অসাবধানতার কারণে সন্তানের নানা শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে৷নবজাতকের দেখাশোনায় কীভাবে যত্ন নিতে হয় মা-বাবাকে, তারই কয়েকটি টিপ্স এখানে দেওয়া হল।

  • হাত ধুয়ে বাচ্চাকে কোলে নিন
  • নবজাতকদের ইমিউন সিস্টেম খুব স্ট্রং হয় না তাই সংক্রমণের ভয় থাকে সব সময়। সুতরাং বাচ্চাকে স্পর্শ করার আগে ভালো করে হাত ধুয়ে নিন অথবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন এবং অপরিষ্কার হাতে বাচ্চাকে ধরতে কাউকেই অনুমতি দেবেন না।
  • নবজাতকের মাথা এবং ঘাড়ে সাপোর্ট দিন। যখনই বাচ্চাকে কোলে নেবেন, ঘাড়ে এবং মাথার নীচে হাত রাখুন যাতে ঘাড় এবং মাথার পিছনে সাপোর্ট থাকে। বাচ্চাকে শোয়াবার সময়ও একই নিয়ম মেনে চলুন।
  • বাইরে বেরোবার সময় গাড়ি বা প্র্যামে ভালো করে বাচ্চাকে সিট বেল্ট-এর সাহায্যে সিকিওর করুন। বাচ্চাকে নিয়ে আসা যাওয়া করতে হলে খেয়াল রাখতে হবে যাতে যাত্রাপথ খুব রাফ বা বাউন্সি না হয়।
  • বাচ্চাকে খুব বেশি নাড়াবেন না, রেগে গিয়ে অথবা খেলার ছলেও না। অনেক সময় খেলার ছলে অথবা বাচ্চা সমানে কাঁদতে থাকলে কেউ কেউ ভোলাবার জন্য বাচ্চাকে শূন্যে ছুড়ে, চুপ করাবার বা হাসাবার চেষ্টা করেন। কিন্তু বাচ্চাকে অতিরিক্ত ঝাঁকানো একেবারেই অনুচিত। এতে শিশুর মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। বাচ্চাকে ঘুম থেকে তুলতে তাকে ঝাঁকাবার দরকার নেই বরং পায়ের তলায় সুড়সুড়ি দিন বা গালে আঙুল দিয়ে আলতো করে টোকা দিন।
  • শিশুর সঙ্গে বন্ডিং বাড়ানো। নবজাতকের যত্নে, মা-বাবার সঙ্গে বন্ডিং হওয়াটা খুব জরুরি। বাচ্চার সঙ্গে ফিজিক্যাল ক্লোজনেস, ইমোশনাল কানেকশন বাড়ায়। বাবা-মায়ের সঙ্গে অ্যাটাচ্মেন্ট, বাচ্চার ইমোশনাল গ্রোথ হতে সাহায্য করে এবং শারীরিক ডেভেলপমেন্ট হতেও সাহায্য করে। বন্ডিং-এর শুরু হয় বাচ্চাকে যেই নিজের কোলে নিচ্ছেন এবং ধীরে ধীরে তার সারা গায়ে হাত বুলোচ্ছেন। ব্রেস্ট ফিড করাবার সময়ও মা ও সন্তানের ত্বকের সংস্পর্শে বাচ্চা এবং মা উভয়ের মনেই আনকন্ডিশনাল ভালোবাসার বন্ধন তৈরি হয়। বাচ্চারা গলার স্বর শুনতে ভালোবাসে, সুতরাং বাচ্চার সঙ্গে সমানে কথা বলুন, গান শোনান।
  • বাচ্চাকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন। বাচ্চাকে নিয়ে বাড়ি ফিরে সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার যে, ডায়াপার ব্যবহার করবেন নাকি কাপড়ের ন্যাপি। যাই ব্যবহার করুন না কেন, দিনে অন্তত দশবার ন্যাপি বদলাবার দরকার পড়ে। সুতরাং মজুত রাখা দরকার পরিষ্কার ডায়াপার। কাপড় ব্যবহার করলে ডায়াপার পিনস, ডায়াপার ক্রিম এবং একটি পাত্রে হালকা গরমজল এবং মোছার নরম সুতির পরিষ্কার কাপড় এবং তুলো রাখা দরকার। বাচ্চাদের প্রায়ই ডায়াপার র্যাশ হতে দেখা যায়। সেই ক্ষেত্রে হালকা গরমজলে বাচ্চাকে পরিষ্কার করে ভালো করে সেখানে ক্রিম লাগিয়ে রাখতে হবে এবং ডায়াপার ছাড়া বাচ্চাকে কিছুটা সময় রাখতে হবে। ৩ দিনের বেশি র্যাশ না সারলে, ডাক্তার দেখাতে হবে কারণ ফাংগাল সংক্রমণের কারণেও এমনটা হতে পারে।
  • স্নানের নিয়মঃ নবজাতককে স্পঞ্জ বাথ দেওয়া বাঞ্ছনীয় যতদিন না আমবিলিকাল কর্ডটা পড়ে যায় এবং নাভি সম্পূর্ণ শুকিয়ে যায়। সপ্তাহে ৩ থেকে ৪ বার বাচ্চাকে স্নান করালেই যথেষ্ট কারণ বারবার স্নান করালে বাচ্চার ত্বক ড্রাই হয়ে যায়। বাকি দিনে স্পঞ্জ বাথ দিন বাচ্চাকে।
  • খাওয়ানো এবং ঢেঁকুর তোলানোঃ সাধারণত বাচ্চাকে খিদে পেলেই খাওয়ানো উচিত। খিদে পেলে বাচ্চা নয় কাঁদবে বা মুখে হাত ঢুকিয়ে চুষতে থাকবে। বাচ্চাকে ফিডিং করাবার সময় অনেকবার হাওয়া গিলে নেয় বাচ্চা ফলে পেটে ব্যথা হয় এবং বাচ্চা সমানে কাঁদতে থাকে। এই সমস্যা যাতে না হয় তার জন্য মাঝেমধ্যেই খাওয়াবার মাঝে বাচ্চাকে পিঠের উপর ফেলে ঢেঁকুর তোলানো খুব জরুরি।
  • ঘুমের অভ্যাসঃ  নবজাতক সাধারণত ১৬ ঘন্টা বা তার বেশি ঘুমোয়। কিন্তু টানা এক ভাবে নয়। ২ থেকে ৪ ঘন্টা টানা ঘুমোয় বাচ্চা। ৪ ঘন্টার মধ্যে বাচ্চা ঘুম থেকে না উঠলে, বাচ্চাকে ঘুম থেকে তুলে ফিড করানো দরকার। বাচ্চারা নিজেরাই একটা ঘুমের প্যাটার্ন তৈরি করে নেয়। সাধারণত ৩ মাস বয়স থেকে বাচ্চা ৬ থেকে ৮ ঘন্টা টানা ঘুমোয়। যদি সেটা নাও হয়, ভয় পাবার কোনও দরকার নেই। যদি দেখেন বাচ্চার ওজন বাড়ছে এবং দেখে মনে হয় সুস্থ, তাহলে ৩ মাস বয়সে পুরো রাত না ঘুমোলেও চিন্তার কোনও কারণ নেই।

সব মিলিয়ে নবজাতকের দেখাশোনার জন্য মা-বাবা এবং বিশেষ করে মা-কে সবসময় সজাগ থাকতে হয়। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক নিয়মেই শিশু বড়ো হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পারিপার্শিক পরিবেশের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে শিখতে থাকে এবং তার জীবনযাত্রা ছন্দে ফিরতে আরম্ভ করে। কিন্তু তার আগে পর্যন্ত শিশুকে সাবধানে রাখা মা-বাবার কর্তব্য।

ফিটকিরি-র বহুবিধ ব্যবহার

ফিটকিরি চেনেন না এমন মানুষের সংখ্যা কম। কিন্তু ফিটকিরি-র বহুবিধ ব্যবহার সম্পর্কে ধারণা হয়তো সবার নেই। অর্ধস্বচ্ছ বরফের মতো কঠিন এই খনিজ দ্রব্যটি, সস্তা এবং সহজলভ্য। কারণ, এটি এখন ল্যাবরেটরি-তে কৃত্রিম ভাবে তৈরি করা হয়। এর স্বাদ নোনতা এবং কষা। এটির সঠিক ব্যবহারে কী কী উপকার পাওয়া যায়, তা জেনে নিন।

জল শোধনকারী : সেই প্রাচীনকাল থেকেই জল শোধনে ব্যবহৃৎ হয়ে আসছে ফিটকিরি। জলে কোনও ময়লা বা জীবাণু থাকলে, এক টুকরো ফিটকিরি ফেলে দিন, দেখবেন কিছুক্ষণ পরে ময়লা নীচে থিতিয়ে যাবে। এরপর আস্তে করে উপরের জলটুকু অন্য পাত্রে ঢেলে ব্যবহার করতে পারেন।

জীবাণুনাশক : অ্যান্টিসেপটিক হিসাবে খুব কার্যকরি ভূমিকা নেয় ফিটকিরি। তাই, দাড়ি কাটতে গিয়ে হঠাৎ গাল কেটে গেলে ফিটিকিরি ঘষে দিন। এতে রক্তও বন্ধ হবে এবং জীবাণুর সংক্রমণ থেকেও রক্ষা পাওয়া যাবে।

ঘামাচি দূর করে : গরমে অনেকের ঘামাচির সমস্যা দেখা দেয়। আর এই ঘামাচি দূর করার জন্য ফিটকিরির সাহায্য নিন। স্নানের জলে এক টুকরো ফিটকিরি ফেলে স্নান করুন, ঘামাচির সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।

ব্রণ দূর করে : সাধারণত ত্বকে জীবাণুর আক্রমণ ঘটলে এবং পেট পরিষ্কার না-থাকলেই ব্রণ-র সমস্যা দেখা দেয়। তাই, পেট পরিষ্কার রাখার জন্য খান ফাইবার-যুক্ত খাবার। ফিটিকিরি জলে চুবিয়ে আস্তে আস্তে ব্রণর উপর ঘষতে থাকুন। এক মিনিট পর ঠান্ডা জলে মুখ ধুয়ে নিন, ব্রণ দূর হবে।

মুখের দুর্গন্ধ দূর করে : মুখের ভিতর ঠিক মতো পরিষ্কার না রাখার জন্য কিংবা বাজে টুথপেস্ট ব্যবহার করার কারণে মুখগহ্বরে জীবাণু বাসা বাঁধে এবং দুর্গন্ধ হয়। এক্ষেত্রে হালকা গরম জলে একটু নুন এবং ফিটকিরির সামান্য গুঁড়ো মিশিয়ে গার্গল করুন। মুখের দুর্গন্ধ দূর হবে এবং দাঁতে ব্যথা থাকলে তাও দূর হবে।

মাথার উকুন মারে : চায়ের লিকার ঠান্ডা করে, ওর মধ্যে ফিটকিরির সামান্য গুঁড়ো মিশিয়ে মাথায় মাখুন এবং তিরিশ মিনিট পর শ্যাম্পু করুন। টানা তিনদিন এই পদ্ধতি প্রয়োগ করলে উকুন উধাও হয়ে যাবে।

দাগমুক্ত রাখুন জামাকাপড়

বাচ্চাদের দুষ্টুমি কিংবা নিজের অসতর্কতা প্রভৃতির কারণে, ব্যবহৃত জামাকাপড়ে অনেকসময় দাগছোপ লেগে যায়। আর এই দাগছোপ কখনও আবার এতটাই জোরালো থাকে যে, সহজে উঠতে চায় না। কিন্তু দাগ তেল, কালি, রং, চা-কফি যা কিছুরই হোক না কেন, পদ্ধতি বা কৌশল জানা থাকলে দাগ তুলতে অসুবিধা হবে না। তাই, জেনে রাখুন দাগ তোলার কয়েকটি পদ্ধতি বা কৌশল।

চাকফির দাগ : একেবারে ধবধবে সাদা জামাকাপড়েও যদি চা-কফি পড়ে যায়, তাহলে তখনই ট্যালকম পাউডার ছড়িয়ে দিন দাগ পড়া জায়গায়। এভাবে দুঘন্টা রাখার পর ভালো সাবান দিয়ে  ধুয়ে দিন, দাগ গায়ে হবে।

তেলের দাগ : হঠাৎ যদি কাপড়ে তেল পড়ে যায়, তাহলে টিসুপেপার চেপে ধরুন ওই জায়গায়। এরপর ওই তেল পড়া জায়গায় শ্যাম্পু লাগিয়ে পনেরো মিনিট রেখে জল দিয়ে ধুয়ে দিন।

চকোলেটএর দাগ : চকোলেট লাগলে তখনই ধোবেন না। শুকোতে দিন। শুকিয়ে গেলে নখ দিয়ে কিংবা চামচ দিয়ে ঝেড়ে ফেলুন চকোলেট। এরপর ডিশওয়াশিং লিকুইডের সঙ্গে ভিনিগার মিশিয়ে দাগ পড়া জায়গায় লাগিয়ে রেখে কিছুক্ষণ বাদে জল দিয়ে ধুয়ে দিন।

কালি এবং রংএর দাগ : কেরোসিন তেল অথবা লবণ দিয়ে দাগের জায়গাটা ঘষে নিন। এরপর শ্যাম্পু দিয়ে ভালো ভাবে ঘষে নিয়ে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

রক্তের দাগ : রক্তের দাগ লাগার সঙ্গে সঙ্গে ভিনিগার দিয়ে দাগ লাগা জায়গাটা ধুয়ে ফেলুন। এরপর শ্যাম্পুর সঙ্গে সামান্য নুন মিশিয়ে জল দিয়ে ভালো ভাবে ধুয়ে নিন।

সস এবং অন্যান্য দাগ : যদি টম্যাটো সস, চিলি সস, হলুদ প্রভৃতির দাগ লেগে যায় জামাকাপড়ে, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে এক চামচ লেবুর রস ঢেলে দিন দাগের উপর। পাঁচ মিনিট বাদে সাবান দিয়ে কেচে নিন ভালো ভাবে।

ওয়েট ট্রেনিং

শুধুমাত্র অতিমারীর আবহে-ই নয়, শরীরকে সর্বদা সুস্থ, স্বাভাবিক এবং প্রাণচঞ্চল রাখার জন্য ইনার ফিটনেস জরুরি। আর এই ইনার ফিটনেস-এর জন্য ওয়েট ট্রেনিং খুবই কার্যকরি  মাধ্যম। এতে দ্রুত ওজনও কমানো যায়। পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের শরীরে যেহেতু ফ্যাট জমার প্রবণতা বেশি থাকে, তাই মহিলাদের ওয়েট ট্রেনিং করা আবশ্যক। তবে এ প্রসঙ্গে একটা ভুল ধারণা আছে অনেক মহিলার যে, ওয়েট ট্রেনিং-এ শরীরে পেশিগুলি নারীসুলভ নমনীয়তা হারিয়ে পুরুষালি হয়ে যায়। কিন্তু এ ধারণা ঠিক নয়। কারণ, যে-হরমোনের কারণে শরীর পেশিবহুল হয়ে ওঠে, সেই টেস্টোস্টেরন হরমোন খুবই কম মাত্রায় থাকে নারী-শরীরে। বরং বেশি থাকে ইস্ট্রোজেন হরমোন। তাই, যদি টেস্টোস্টেরন হরমোন শরীরে ইনজেক্ট না করেন মহিলারা, তাহলে তাদের শরীর পুরুষদের মতো পেশিবহুল হওয়ার সম্ভাবনা কম। অতএব, নির্দ্বিধায় ওয়েট ট্রেনিং-কে মাধ্যম করতে পারেন মহিলারা। এ ক্ষেত্রে মনে রাখবেন, ওয়েট ট্রেনিং-এর ৭২ ঘন্টা পরও ক্যালোরি বার্ন হতে থাকে।

এখন কারও মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, ওয়েট ট্রেনিং কী? ওজন তোলা এবং নামানোকেই বলা হয় ওয়েট ট্রেনিং। শুধু হাত দিয়ে নয়, হামাগুড়ির ভঙ্গিতেও পিঠ দিয়ে ওজন তোলা-নামানোর সুফল পাওয়া যায়। এরজন্য আপনাকে বাড়িতে রাখতে হবে এক থেকে তিন কিলোগ্রাম ডাম্বেল। আর যারা ডাম্বেল কিনতে পারবেন না, তারা দুটি এক লিটারের অথবা দুটি দুলিটারের জলের বোতল দিয়ে ওয়ার্ক আউট করতে পারেন। তবে এরজন্য কিছু নিয়ম পালন এবং সতর্কতা জরুরি।

  • ওয়েট ট্রেনিং শুরু করার আগে পেশাদার ট্রেনারের পরামর্শ নেওয়া জরুরি
  • শরীরে কোনও বড়ো সার্জারি হয়ে থাকলে ওয়েট ট্রেনিং না করাই ভালো। এক্ষেত্রে আপনার চিকিত্সকের উপদেশ পালন করা আবশ্যক
  • ওয়েট ট্রেনিং শুরু করার আগে, অন্তত দশ মিনিট হেঁটে কিংবা ফ্রি-হ্যান্ড এক্সারসাইজ করে নিতে হবে
  • ওজন তোলা এবং নামানো যেমন ধীর গতিতে করতে হবে, ঠিক তেমনই ওজনের পরিমাণও বাড়াতে হবে ধীরে ধীরে
  • সপ্তাহে অন্তত চারদিন ওয়েট ট্রেনিং-এর ওয়ার্ক আউট করুন এবং ওয়ার্ক আউট-এর সময জোরে জোরে শ্বাস নিন এবং শ্বাস বর্জন করুন
  • ওয়েট ট্রেনিং করতে হলে প্রোটিন এবং সামান্য কার্বোহাইড্রেট-যুক্ত খাবার খাওয়া আবশ্যক। এছাড়া রাতে পর‌্যাপ্ত ঘুমেরও প্রযোজন।

চা-পানের সঠিক সময়

আমরা জানি চা-এর কিছু স্বাস্থ্যগুণ আছে। যেমন দুধ-চা মুখের স্বাদ ফেরায় এবং মানসিক তৃপ্তি দেয়। লাল-চা বা যাকে আমরা বলি লিকার-টি, তা পান করলে শরীরের অতিরিক্ত ধকল দূর করে আরাম দেয়। আবার, অর্গ্যানিক-টি-র আছে নানারকম গুণ। এই চা অ্যান্টি অক্সিড্যান্টস-যুক্ত, শরীরে মেটাবলিজম বাড়িয়ে ওজন কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া, অর্গ্যানিক-টি-তে আছে অ্যামিনো অ্যাসিড, কার্বোহাইড্রেট, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাংগানিজ, ভিটামিন বি, সি, প্রোটিন প্রভৃতি। এগুলি আমাদের শরীরে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। সেইসঙ্গে, চুল এবং দাঁত সুরক্ষিত রাখে, রক্তচাপ কমায়, সুগার নিযন্ত্রণে রাখে, হাড়ের ক্ষয়রোধ করে এবং মানসিক অবসাদ থেকে মুক্তি দেয়। কিন্তু, এইসব সুফল আমরা ভোগ করতে পারব যদি সময় মতো চা-পান করি। আর যদি তা না করি, তাহলে কুফল ভোগ করতে হতে পারে।

কোন চা কখন পান করা উচিত

দুধ-চা : সকালে উঠে খালি পেটে দুধ-চা খাবেন না। খালি পেটে দুধ-চা খেলে, গ্যাস ফর্ম করতে পারে পেটে এবং অম্বল হতে পারে। তাই, ব্রেকফাস্ট-এর অন্তত একঘন্টা পর এবং বিকেলে টিফিন খাওয়ার অন্তত তিরিশ মিনিট পর পান করুন দুধ-চা। আর এ প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি, অনেকক্ষণ আগের বানানো চা পুনরায় গরম করে পান করবেন না। কারণ, বারবার ফোটানো চা লিভারের ব্যাপক ক্ষতি করতে পারে।

লিকার-চা : লাল বা লিকার-চা-ও খালি পেটে খাওয়া উচিত নয়। কারণ, চা যেহেতু হজমে সাহায্য করে, তাই পেট খালি থাকলে স্টমাকে চাপ পড়তে পারে। অতএব, পেটে যদি কিছুটা খাবার থাকে, তাহলে সঠিক পরিমাণে লাল-চা পান করতে পারেন। তবে, লিকার-চা পান করার সঠিক সময় হল ঘাম ঝরানো পরিশ্রমের পর। এতে শরীরের ক্লান্তি দূর হবে এবং মানসিক শান্তি পাবেন।

অর্গ্যানিক-চা : একমাত্র অর্গ্যানিক-চা পান করার উপযুক্ত সময় হল সকালে খালি পেটে। কারণ এটি ফ্যাট বার্নিং হরমোনকে প্রভাবিত করে সুফল দেয়। তাছাড়া, এক্সারসাইজ-এর আগে পান করলে এনার্জি বাড়ে। তাই, সকালে খালি পেটে ছাড়া, দিনের অন্য সময় ভরা পেটে অর্গ্যানিক-চা পান করলে সঠিক উপকার পাবেন না।

রাতে খাওয়ার পর এবং ঘুমোতে যাওয়ার আগে, কোনও চা-ই পান করবেন না। এতে ঘুম নষ্ট হতে পারে।

পড়ার জন্য সীমাহীন গল্প-নিবন্ধসাবস্ক্রাইব