ভালোবাসা হল একটা সুন্দর অনুভতি। কিন্তু যখন ওবসেশন-এর মানসিকতা, ভালোবাসার অনুভতিকে দাবিয়ে রাখার চেষ্টা করে তখনই জানতে হবে সম্পর্কে প্রেম-ভালোবাসার জায়গা নিচ্ছে জেদ। ইচ্ছা অপরের উপর চাপিয়ে দেওয়ার মানসিকতা ব্যক্তিকে চালিত করছে। এও এক ধরনের পাগলামি বলা চলে।

প্রেম অবসাদের কারণ হয়ে উঠতে পারে : কারও জন্য প্রেম ওষুধের মতো কাজ করে নিজের আবার কারও জন্য ধ্বংস এবং প্রতিশোধের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। প্রেম মানুষকে অন্ধ করে। এর ফলে মানুষ নিজের আইডেন্টিটি, নিজের সবকিছু ভুল করে, বেশি গুরুত্ব দিয়ে ফেলে। সুতরাং সেখানে যদি কেউ তাকে ঠকায় তাহলে ওই ব্যক্তির মধ্যে আত্মহত্যার মনোভাব তৈরি হতে পারে, হত্যা করার ইচ্ছা, এমনকী মানুষ পাগলও হয়ে যেতে পারে!

ইমোশনালি আনস্টেবল: ইমোশনালি আনস্টেবল পার্সোনালিটির যারা অধিকারী, তারা অপরের উপর ডিপেন্ড করে। ভালোবাসার অর্থ তাদের কাছে হল, অপর ব্যক্তিকে তার খেয়াল রাখতে হবে, তাকে ভলোবাসতে হবে, তাকে সব পরিস্থিতিতে সামলাতেও হবে। এরা সাধারণত মানসিক ভাবে খুব দুর্বল হয়। খুশি হয় যেমন তাড়াতাড়ি, তেমনি তাড়াতাড়ি অবসাদেরও শিকার হয়।

হরমোন ফ্যাক্টর: হরমোনও আমাদের পার্সোনালিটিকে অনেক ক্ষেত্রেই প্রভাবিত করে। এক ধরনের এনজাইমের সঙ্গে প্রেমের একটা সম্পর্ক রয়েে। কেউ ভালো কথা বললে আমরা আনন্দ পাই। এই ক্ষেত্রে ডোপামিন হরমোনের সিক্রিশন বেশি হয় যা কিনা প্রেম, ভালোবাসার মতো ইমোশনকে কন্ট্রোল করে।

নিজেকে অসুরক্ষিত মনে করা: অনেকের মনেই প্রেম থেকে নিরাপত্তাহীনতার ভাবনা জন্ম নেয়। সবসময় সন্দেহ হতে থাকে পার্টনার তাকে ঠকাচ্ছে না তো? কেউ তাকালে মনে হয়, অপর ব্যক্তিটি পার্টনারকে ছিনিয়ে নিতে পারে। এই ক্ষেত্রে ব্যক্তি নিজের সবকিছু ভুলে সর্বক্ষণ পার্টনারের প্রতি পুরো কেন্দ্রিভূত করে।

নির্ভরশীলতা : পুরোপুরি অন্যের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়লে, ব্যক্তি নিজের পার্সোনালিটি হারিয়ে ফেলে। পার্টনারকে খুশি করার জন্য উন্মুখ হয়ে ওঠে। তার পছন্দমতো কথা বলা, পোশাক পরা, বাইরের কারও সঙ্গে তাকে নিয়ে আলোচনা করা, সারাদিন তারই চিন্তায় ব্যস্ত থাকা, চোখের সামনে না থাকলে ফোনের মাধ্যমে টাচ-এ থাকার চেষ্টা ইত্যাদি ইত্যাদি। এই সব ক্ষেত্রে পার্টনার যদি ওবসেসড মানসিকতা বুঝতে পারে তাহলে সে তার নিজের দরকারে ব্যবহার পর্যন্ত করতে পারে। ফলে সাইকোলজিক্যালি ড্রেন্ড আউট হয়ে পড়তে পারেন। এতে জীবনে একটা বড়ো পরিবর্তন আসতে পারে। হঠাত্ করে অপর এক ব্যক্তি আপনার জীবনকে যদি কন্ট্রোল করতে শুরু করে দেয়, তখন এক দমবন্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়। এই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা দুষ্কর হয়ে ওঠে।

বাঁচার উপায়

  •  কোনও ব্যক্তিকে আপন ভেবে নিজের সব কিছু তার সামনে পরিষ্কার করে তুলে ধরা উচিত নয়। সব সময় একটা সীমার মধ্যে থেকে ভালোবাসার চেষ্টা করুন
  •  কারও জন্য নিজের আইডেন্টিটি হারিয়ে ফেলবেন না। মনে রাখবেন আপনার আইডেন্টিটি, আপনার আসল পরিচয়
  •  নিজের পছন্দের কাজ করতে থাকুন যাতে পার্টনারের অনুপস্থিতিতে আপনি ভেঙে না পড়েন এবং ধ্বংসের মুখে চলে না ।
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...