কত মানুষ আছেন যারা ঠিকমতো খাবার পান না। আবার এমন কিছু অর্থবান অবিবেচক লোক আছেন, যারা অনেক সময় খাবার নষ্ট করেন। যাইহোক, দীর্ঘদিন অর্ধাহারে কিংবা অনাহারে থাকা মানুষগুলো অপুষ্টিতে ভোগেন। আর পুষ্টির অভাবে, তাদের শরীরে বাসা বাঁধে নানারকম রোগ। তাই অসহায়, অন্নকষ্টে ভোগা মানুষগুলোর মুখে যারা অন্ন তুলে দেন, তাদেরকে স্বাগত জানানো উচিত। পাশাপাশি, ‘হাঙ্গার-ফ্রি ওয়ার্ল্ড’ কর্মসূচিকে সফল করতে যাতে আরও বেশি মানুষ আগ্রহ দেখিয়ে এগিয়ে আসেন, সেই চেষ্টা করা উচিত সকলের।

ওয়ার্ল্ড হাঙ্গার ডে উপলক্ষ্যে, মালাবার গ্রুপ-এর সিএসআর প্রোগ্রামের অধীনে সারা দেশে অভাবীদের জন্য পুষ্টিকর দৈনিক খাবার সরবরাহ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।  'হাঙ্গার-ফ্রি  ওয়ার্ল্ড' প্রকল্পের অধীনে, ইতিমধ্যেই কলকাতা-র বিভিন্ন অংশে খাবারের প্যাকেট বিতরণ করে চলেছে এই গ্রুপ।

‘হাঙ্গার-ফ্রি ওয়ার্ল্ড’ প্রকল্প, জাতিসংঘের একটি অনন্য স্বীকৃত উদ্যোগ। এই প্রকল্প কিংবা কর্মসূচিটি  স্বীকৃত সমাজকল্যাণ এনজিও ‘থানাল-দয়া রিহ্যাবিলিটেশন ট্রাস্ট’-এর সহায়তায় করা হয়। দক্ষ শেফদের দ্বারা স্বাস্থ্যকর পরিবেশে পুষ্টিকর খাবার তৈরির জন্য বিভিন্ন জায়গায় আধুনিক রান্নাঘর তৈরি করা হয়েছে। স্বেচ্ছা-সেবকরা রাস্তায় এবং শহরতলির অভাবী মানুষদের  বেছে নিয়ে, তাদের হাতে খাবারের প্যাকেটগুলি পৌঁছে দিচ্ছেন প্রতিদিন।

মালাবার গ্রুপের চেয়ারম্যান, এমপি আহমেদ এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, ‘বর্তমানে উপসাগরীয় দেশগুলির কয়েকটি কেন্দ্র ছাড়াও, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল সহ ১৬টি রাজ্য জুড়ে, কলকাতা সহ ৩৭টি শহরে প্রোগ্রামটি বাস্তবায়িত হয়েছে৷  সম্প্রসারণের অংশ হিসাবে, প্রোগ্রামটি এখন ১৬ টি রাজ্যের ৭০টি শহরকে কভার করবে।  এছাড়াও, গ্রুপটি আফ্রিকান দেশ জাম্বিয়াতে স্কুল শিশুদের জন্য একই প্রোগ্রাম চালু করার পরিকল্পনা করেছে।  বর্তমানে, উচ্চাভিলাষী কর্মসূচির অধীনে ৩১,০০০ টির মতো খাবারের প্যাকেট বিতরণ করা হয়েছে।  স্কেল আপ করার অংশ হিসাবে, ৫১,০০০ টি  পুষ্টিকর খাবারের প্যাকেট এখন বিতরণ করা হবে।’

'হাঙ্গার ফ্রি ওয়ার্ল্ড'  কর্মসূচিকে প্রসারিত করার জন্য, সারা দেশে ২০২৪-২৫  অর্থবর্ষে প্রতিদিন পুষ্টিকর খাবারের ৫১,০০০ প্যাকেট সরবরাহ করার উদ্যোগ সফল করতে চায় মালাবার গ্রুপ। সম্প্রতি এই উদ্যোগের কথা আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করা হল ক্যামাক স্ট্রিট অঞ্চলে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে। মালাবার গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডস স্টোর-এর ক্যামাক স্ট্রিট এবং কাঁকুড়গাছি শাখার ব্যবস্থাপনায়, ইতিমধ্যেই কলকাতা-র বিভিন্ন অঞ্চলের অভাবী মানুষদের হাতে প্রতিদিন তুলে দিচ্ছে খাবারের প্যাকেট। গ্রুপটি কলকাতার বিভিন্ন অংশে প্রায় ৩,৫০০টি খাবারের প্যাকেট বাড়ানো এবং বিতরণ করার পরিকল্পনা করেছে। পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা এবং ঝাড়খণ্ড সহ পূর্বাঞ্চলে আরও ৫,৭০০ টি খাবারের প্যাকেট সরবরাহ করতে চায়।

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...