হোয়্যার ইজ দ্য রিভার?

সকালে উঠেই সিঁড়ি বেয়ে সোজা নীচে। সে রিসেপশনে হামলে পড়ল। কেতাদুরস্ত (যেমন হয়) রিসেপশনিস্ট যুবকটিকে সামান্য সুপ্রভাত জানানোর সুযোগটাও দিল না। তার হাঁসফাঁসে চেহারাটা দেখে ছেলেটি নিজেকে সামলে নিল, হাত দিয়ে দেখিয়ে বলল– দেয়ার ইউ হ্যাভ আ ব্যাক ডোর, ওপ্ন ইট, অ্যান্ড দেয়ার ইউ গো। বাট ইট্স অফুলি কোল্ড আউটসাইড, মর্নিং ইন জার্মানি ইজ ভেরি ভেরি চিলি। হোয়্যার ইজ ইওর ওভারকোট ম্যাম? ইট্স আ মাস্ট বিফোর ইউ থিংক অফ গোইং আউট।

রিমি এক মুহূর্ত ভাবল। নদী তার জন্য অপেক্ষা করবে না? সামান্য একটা শীতের পোশাক পরে বেরোতে? এই নদী তো আজন্ম তার, হ্যাঁ, তারই জন্য সে অপেক্ষা করেছে। যেমন সুদূর কলকাতায় তার জন্য অপেক্ষা করছে অভি।

সে সিঁড়ির রাস্তা ধরছিল। রিসেপশনিস্ট ছেলেটি তাকে আগের মতোই মধুর গলায় বলল– হ্যাভ আ লুক অ্যাট ইওর লেফট, দেয়ার ইজ আ লিফট।

রিমি লিফটে উঠল। উঠেই মনে হল, দয়ালু ছেলেটিকে সে একবারও ধন্যবাদ জানায়নি। লিফটের দরজা বন্ধ হওয়ার মুহূর্তে সে ফাঁক দিয়ে চেঁচিয়ে বলল– ডাঙ্কে, ডাঙ্কে শ্যুন।

জার্মানিতে আসার পর সে হাতে গোনা যে ক’টি জার্মান শব্দ শিখেছে তার মধ্যে এই একটা– ধন্যবাদ, অনেক ধন্যবাদ।

ওভারকোটটা পরে সে যখন রিসেপশন ডেস্কের পিছনের দরজা দিয়ে বাইরে বেরোল, মুখে এসে ঝাপটা মারল তীক্ষ্ম তিরের মতো ঠান্ডা হাওয়া। কিন্তু রিমি তা আগ্রাহ্য করল। সামনে দিয়েই চলে গেছে একটা সোজা চকচকে রাস্তা, আর তার ওপারে... রিমি স্বপ্নেও ভাবেনি তার সঙ্গে রাইন-এর কোনওদিন দেখা হবে! কিন্তু না, দেখা তো হল! সত্যি! সে রাস্তাটা দৌড়ে পার হল। এরপর তার সামনে সেই নদী। রিমি প্রাণ ভরে তাকে দ্যাখে। ওভারকোটের পকেট থেকে ক্যামেরা বার করে। ছবির পর ছবি, তারও পর ছবি।

সে রাইন-এর ধার ধরে ধরে হাঁটতে শুরু করল। বিশ্বাস হচ্ছে না। পটাপট ছবি তুলছে। ছবি তুলতে গেলে দস্তানা পরলে একটু অসুবিধে হয়। কিন্তু ঠান্ডাটা বড্ড বেশি। সে ছবি তোলায় ক্ষান্ত দিয়ে ওভারকোটের পকেটে ক্যামেরাটা পুরে ফেলে দস্তানা হাতড়ায়। সর্বনাশ, সে দস্তানা না নিয়েই বেরিয়ে পড়েছে! এবার কী হবে!

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...