সব ফ্যাট মোটেই শরীরের শত্রু নয়, বরং কিছু কিছু স্নেহ পদার্থ নিয়ন্ত্রিত মাত্রায় সেবন না করলে লাভের চেয়ে ক্ষতির আশঙ্কাই বেশি৷ ভালো তেল রক্তের এইচডিএল অর্থাৎ শরীরের জন্য উপকারী ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়।

কারও শরীরে আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট বা খারাপ কোলেস্টেরল এলডিএল বেশি থাকলে সেটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে উদ্ভিজ্জ তেল। এটা হৃদরোগ ও রক্তচাপে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমিয়ে দেয়, আর লিভার সচল রাখে।তাই পলি-আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটযুক্ত উদ্ভিজ্জ তেল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ। মনোআনস্যাচুরেটেড এবং পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট ভালো রাখে হার্টের স্বাস্থ্য৷ ওমেগা থ্রি এবং ওমেগা সিক্সের মতো পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড মস্তিষ্কের বিকাশ এবং কোষের বৃদ্ধির জন্য আদর্শ৷ তবে দূরে থাকুন ট্রান্স ফ্যাট এবং সব ধরনের হাইড্রোজেনেটেড ফ্যাট থেকে ।  উদ্ভিজ্জ তেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাটি অ্যাসিড, যা ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে, ত্বক ভালো রাখে, শরীরে বয়সের ছাপ দেরিতে পড়ে এবং চর্মরোগ দূর করে।

ঘি ও মাখন

ঘিতে রয়েছে ভিটামিন এ, ডি ও ই, যা আপনার ত্বক, চুল ও হাড়ের স্বাস্থ্য বজায় রাখে৷ মাখনের ওমেগা থ্রি ও ওমেগা সিক্স ফ্যাটি অ্যাসিডও মস্তিষ্ককে সজাগ রাখতে ও ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখতে দারুণ কার্যকর৷

নারকেল তেল

নারকেল তেলের, বিশেষ করে এক্সট্রা ভার্জিন নারকেল তেলের গুণের শেষ নেই৷ এর মিডিয়াম চেন ফ্যাটি অ্যাসিড খুব তাড়াতাড়ি হজম হয়ে যায় এবং চট করে শরীরে জমা হয় না৷ হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এবং আর্থারাইটিসের মতো রোগের সঙ্গে লড়াইয়ে দারুণ কার্যকর হতে পারে এর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট৷

বাদাম

আপনার যদি ওবেসিটি না থাকে, তা হলে রোজের খাদ্যতালিকায় এক মুঠো বাদাম স্বচ্ছন্দে রাখতে পারেন৷ যাঁরা ওবিস বা বাড়তি ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন, তাঁরা পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়ে ঠিক করুন কোন বাদাম কতটা পরিমাণ খাওয়া উচিত৷ আমন্ড, আখরোটের মতো বাদাম রোজের খাদ্যতালিকায় থাকলে ফ্যাটের পাশাপাশি ভিটামিনেরও জোগান ঠিক রাখতে পারবেন৷

এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল

হার্টের জন্য খুব ভালো৷ এর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট কোষের ক্ষয় আটকায়, বাড়ে স্মৃতিশক্তি৷ এছাড়া সূর্যমুখি বীজ, ফ্ল্যাক্সসিড, তৈলাক্ত মাছ, ডিমের কুসুম ও অ্যাভোকাডোও রাখতে পারেন রোজের খাদ্যতালিকায়৷ পুষ্টি চাহিদা পূরণে যেমন পর্যাপ্ত তেল দরকার, তেমনি যারা স্থূলতা, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ কিংবা রক্তচাপের মতো সমস্যায় ভুগছেন তাদেরকে আবার চিকিৎসকের পরামর্শে মেপে মেপে তেল খেতে হবে।

নিজের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি বুঝে পরিমিত পরিমাণে তেল খাওয়া জরুরি। সেক্ষেত্রে চাহিদা যদি বেশি বা কম থাকে, তাহলে তেল খাওয়ার পরিমাণেও কম-বেশি হবে।

Tags:
COMMENT